ছবি ,দালাল চক্রের হোতা- মোহন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক
কুষ্টিয়ার চাউলের গ্রাম খ্যাত খাজানগর নারী শ্রমিক অধ্যুষিত অঞ্চল।শ্রমিক অভাবে অধিকাংশ ম্যানুয়াল রাইচ মিল বন্ধ হয়ে গেছে।যে সল্প সংখ্যা টিকে আছে তাই বন্ধ হওয়ার উপক্রম নারী পাচার কারী দালালদের দৌরাত্ম্য। তারা ফুসলিয়ে কর্মজীবি নারী চাতাল শ্রমিকদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে, এতে অধিকাংশ নারী শ্রমিক সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের ফাদে, নির্যাতিত, মানবেতর, জীবন করছে বিপন্ন ,ভেঙে যাচ্ছে পরিবার, হারিয়ে ফেলছে সর্বশ্য।
স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে সদর উপজেলা র একটি গ্রাম- ত্রিশ বত্রিশ জনের সক্রিয় দালাল চক্র রয়েছে খাজানগরে,এদের ভিতর কয়েক জন নারী দালাল রয়েছে। একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে,অনুমতি কিংবা বৈধ কাগজ পত্র লাইসেন্স ছাড়াই উক্ত দালালরা বছরের পর বছর ধরে তাদের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দালালরা বিশেষ কমিশনে নারী প্রতি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা কামাই করে থাকে। দালাল দের টার্গেট চাতাল কর্মী ও অল্পবয়সী মেয়েদের বিদেশে নিয়ে যাওয়া।এক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের বিভিন্ন এজেন্টদের মাধ্যমে ফুসলিয়ে থাকে। অভিভাবক দের আড়ালে দালালররা তাদের এহেন অপকর্ম ঘটিয়ে থাকে। তেমনি এক দালালের খপ্পরে পড়ে চাতাল শ্রমিক মোমতাজ এখন নিখোঁজ। স্হানীয় রাইচ মিলের মিস্ত্রি জুড়ান এমন অভিযোগ করেন। ঘটনার বিবরনে জানা যায়
খাজানগরের হামিদ বিশ্বাস এর পুত্র মোহন
জুরান মিস্ত্রীর স্ত্রী মোমতাজ কে জর্ডানে পাঠায়।চার পাঁচ বাড়ী র পরে দালাল মোহনের বাড়ি।পরিবারের সম্মতি ছাড়াই পাসপোর্ট রেডি করে,স্ত্রী মোমতাজ দালালের প্রলোভন স্বামী কে মিথ্যা বলে ঢাকায় যায়, অতপর দালালের মাধ্যমে জর্ডানে পাঠায়। দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের লোকজন তার কোন হদিস না পেয়ে দালাল মোহনের কাছে ধারণা দিতে থাকে,দালাল মোহন বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকে। ঢাকা অফিস থেকে জানায় পাচ হাজার ডলার পাঠাতে হবে, দুই দিন বাদে আবার জানায় ছয় হাজার ডলার দিতে হবে এমনি জানিয়েছে মোমতাজের স্বামী জুড়ান। তিনি আরো জানান গত রাতে মোহন সাত হাজার ডলার দাবি করে বলেছে উক্ত টাকা প্রদান করলেই মোমতাজকে জর্ডানে থেকে আনা সম্ভব জুড়ান বলেন আমরা তার কোন সন্ধান পাচ্ছি না উপরন্তু দালালদের টাকা দেবার মত সামর্থ্য আপাততঃ আমার নেই।আজ সকাল এগারোটায় মোহন দালালের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে জুড়ান মিস্ত্রী একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করছে কুষ্টিয়া মডেল থানায়।এ ব্যাপারে দালাল মোহনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে বাড়ী পাওয়া নি,উলেখ্য অভিযুক্ত মোহন দালালের বাড়ি বাদি জুড়ান মিস্ত্রী র বাড়ির সংলগ্ন।