সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সকাল ৪:২১ সময়
ফুলছড়িতে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে:
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার ৪ নং গজারিয়া ইউনিয়নের হাট কাতলামারী আঞ্চলিক সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার প্রায় কয়েক শত নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন গজারিয়া ইউনিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মজুমদার রহমান, ভুক্তভোগী আতোয়ার রহমান,মশিউর রহমান সাজু,বিটুল মন্ডল,মোহাম্মদ ইশা খান, ইউপি সদস্য আফাস উদ্দিন, ছামাদ,মধু মিয়া,গোলজার রহমান,সাবু মিয়া,সোলাইমান প্রমুখ।
ভুক্তভোগীদ বক্তব্য ও মামলার কাগজপত্রাদিতে দেখা যায় গত ১৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় মোঃ ওবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নয়ন শেখ ও পলাতক আসামি আতোয়ার রহমান পিতা অজ্ঞাত দিয়ে মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নম্বর ২৩। এজাহারে বর্ণিত আতোয়ারের যে মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া রয়েছে,সেই নাম্বারটি প্রকৃত মালিকের নাম কবির হোসেন ঠিকানা কবিরপুর টেংগুড়ি সাভার ঢাকা।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়,আতোয়ার রহমানকে চার্জশিট ভুক্ত করা হয়েছে। তাহার পিতা ও সাং অজ্ঞাত নামা উল্লেখ করে গাইবান্ধা সদর থানা ও জেলা গাইবান্ধা নাম দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থানা) পুলিশ উপ-পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আদালতে এই মামলার চার্জশিট করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত থেকে ভুক্তভোগী আতোয়ার ঠিকানায় একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয়।
পরে ভুক্তভোগী আতোয়ার এই মিথ্যা মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরেও গত বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা ফুলছড়ি থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। সেই দিন বিকেলে আদালত থেকে আতোয়ার জামিন লাভ করেন। ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বলেন,এই মামলায় মিথ্যা ভাবে আমাকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহারে যে আতোয়ারের নাম উল্লেখ রয়েছে সেই আতোয়ার আমি নই। এই মিথ্যা মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান।মানববন্ধন শেষে বিক্ষিপ্ত এলাকাবাসী কুকড়ার হাট কাতলামারী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এই বিষয়ে ফুলছড়ি থানার তাহার প্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব বলেন,এই মামলাটি ঢাকার বিমানবন্দর থানায় রয়েছে। এজাহার অনুযায়ী গাইবান্ধার ফুল ছবি এলাকাধীন তাকে পরোয়ানা গ্রেফতার করা হয়ে ছিল। যেহেতু ফুলছড়ি থানায় হয়নি তাই পুরো ঘটনা সম্পর্কে আমরা কিছু জানা নাই।