দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনার শীর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম চৌধুরী
সেলিম মাহবুব,সুনামগঞ্জ থেকেঃ
মনোনয়ন পত্র দাখিলের মধ্য দিয়ে গোটা নির্বাচনী এলাকায় আলোচনায় উঠে এসেছেন
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত শামীম আহমদ চৌধুরী। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে স্বতন্ত্র
প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করে তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার আভাস
দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বাগবাড়ী কবরস্থানে চির নিদ্রায়
শায়িত পিতা-মাতা ও চাচা সুজন মিয়া চৌধুরী সহ বাগবাড়ী গ্রামের মুরুব্বীদের
কবর জিয়ারত করে ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের সিনিয়র
নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মর্কতার কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল
করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, কেন্দ্রিয়
ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী। আওয়ামীলীগ মনোনীনত প্রার্থী,
বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এবং নতুন মুখ শামীম আহমদ চৌধুরী সহ
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আরো ৯ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে অবতির্ণ হতে মনোনয়ন পত্র
দাখিল করেছেন। ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা মুজিব আদর্শের সৈনিক শামীম আহমদ
চৌধুরী প্রায় দেড় যুগ ধরে আওয়ামীলগের হয়ে রাজনৈতিক মাঠে কাজ করে আসছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার ফলে তার নেতৃত্বে ছাতক-দোয়ারায় গড়ে
উঠেছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের এক বিশাল কর্মী বাহিনী। জাতীয় সংসদ
নির্বাচন করার লক্ষ্য বিগত প্রায় এক যুগ ধরে নির্বাচনী মাঠেও পড়ে আছেন
শামীম। আওয়ামীলীগ সরকার কর্তৃক সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার-প্রচারনার
মাধ্যমে মানুষের দোড় গোরায় পৌছে দিয়েছেন তিনি। উন্নয়নের স্বচিত্র লিফলেট
বিতরণ করেছেন তিনি গ্রামে-গঞ্জে ও হাট-বাজারে। নিয়মিত গণ সংযোগ, উঠান বৈঠক,
মতবিনিময় করা ও নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখায় ইতিমধ্যে ছাতক-দোয়ারার
সর্বস্থরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন শামীম আহমদ চৌধুরী। জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে এক যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
বিগত ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে
শামীম আহমদ চৌধুরীর নাম জোড়ালো ভাবে উঠে এসেছিল। তখন মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও
দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার
বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করেন তিনি। এ বছরও মনোনয়ন দৌড়ে তিনি ছিলেন আলোচনার
শীর্ষে। নির্বাচন নিয়ে শামীম আহমদ চৌধুরী জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে
দলীয় মনোনয়ন না দিলেও নির্বাচন করার অনুমতি দিয়েছেন। ভোটের ক্ষেত্রে লেভেল
প্লেয়িং ফিল্ড। নিজের জনপ্রিয়তা প্রমান করার এটাই মুখ্য সুযোগ বলে তিনি মনে
করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও
নিরপেক্ষতার ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলেও তিনি মনে করেন। ছাতক-দোয়ারার অবহেলিত ও
বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি নির্বাচনে
প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, ফলাফল তো নির্ধারন করবেন মহান আল্লাহ। মনোনয়ন
পত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন বাগবাড়ী গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী হাজী
মনির মিয়া, সোনাহর আলী মাষ্টার, ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা
হাজী আবুল হায়াত, আওলাদ আলী রেজা, দোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম
আহবায়ক, ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামীম, ছাতক উপজেলা আওয়ামীলীগের
সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আজমল হোসেন সজল, দোয়ারা
উপজেলার লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান, প্রভাষক জহিরুল ইসলাম, বাংলাবাজার ইউপি
চেয়ারম্যান, রোটারিয়ান আবুল হোসেন, ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউপি চেয়ারম্যান
সাহাব উদ্দিন সাহেল, ছাতক সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ছাতক পৌরসভার
কাউন্সিলর হাজী নাজিমুল হক, কৃষকলীগ নেতা বাবুল পাল, আওয়ামীলীগ নেতা প্রণয়
কুমার আচার্য মুন্না, এবাদুল হক এমাদ, কামাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম আর্মি,
হাবিবুর রহমান শেখচান, কবির আহমদ, শামছুল হক, আব্দুল হেকিম, ব্যবসায়ী
শুকলাল ঘোষ, রাজন দাস, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, ইউপি সদস্য হাসান আহমদসহ প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন।