বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, রাত ৮:৩৭ সময়

ব্রেকিং নিউজ **গাজীপুরে NCP নেতার উপর হামলায় ঘটনায় সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নিরীহ নিরপরাধ মানুষ যেনো গ্রপ্তার না হয় গাজীপুরে NCP নেতার উপর হামলায় ঘটনায় সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নিরীহ নিরপরাধ মানুষ যেনো গ্রপ্তার না হয়** **যৌতুকের কাছে হেরে যাচ্ছে শাহিনার জীবন,হাসপাতালের বেডে শুয়ে গুনছে মৃত্যুর প্রহর যৌতুকের কাছে হেরে যাচ্ছে শাহিনার জীবন,হাসপাতালের বেডে শুয়ে গুনছে মৃত্যুর প্রহর** **আনিস হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ আনিস হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ** **শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার কোন বিকল্প নেই;উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার কোন বিকল্প নেই;উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়** **গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নারী এনজিও (প্রশিকা) কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নারী এনজিও (প্রশিকা) কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার** **গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অটোবাইক চালক নিহত গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অটোবাইক চালক নিহত** **চীনের হাসপাতালটি গাইবান্ধায় প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক কিলোমিটারব্যাপী মানববন্ধন চীনের হাসপাতালটি গাইবান্ধায় প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক কিলোমিটারব্যাপী মানববন্ধন** **চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা** **অবশেষে জিসিসি এলাকায় পয়:নিস্কাশন কাজের উদ্ভোধন ;দূর্ভোগ কমবে নগরবাসির অবশেষে জিসিসি এলাকায় পয়:নিস্কাশন কাজের উদ্ভোধন ;দূর্ভোগ কমবে নগরবাসির** **ইউপি চেয়ারম্যানের মানসম্মান হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ইউপি চেয়ারম্যানের মানসম্মান হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন** **প্রেমিকার পরিবারের নির্যাতনে যুবকের আত্মহত্যা;অভিযোগ সাগরের পরিবারের প্রেমিকার পরিবারের নির্যাতনে যুবকের আত্মহত্যা:অভিযোগ সাগরের পরিবারের** **গাজীপুরে মানুষ গড়ার কারিগর এখন ভূমিদস্যুর কবলে,আদালতের ন্যায় বিচার একমাত্র ভরসা গাজীপুরে মানুষ গড়ার কারিগর এখন ভূমিদস্যুর কবলে,আদালতের ন্যায় বিচার একমাত্র ভরসা** **গাইবান্ধায় স্ত্রীকে উদ্ধারে আদালতে মামলা অপর মামলায় স্বামী এখন শ্রীঘরে গাইবান্ধায় স্ত্রীকে উদ্ধারে আদালতে মামলা অপর মামলায় স্বামী এখন শ্রীঘরে** **সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে খালার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার অভিনব প্রতারণা সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে খালার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার অভিনব প্রতারণা** **গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই শিশুর রক্তাক্ত নিথর মরদেহ গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই শিশুর রক্তাক্ত নিথর মরদেহ** **গাইবান্ধায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা,কেন্দ্রসচিবসহ ২১ শিক্ষককে অব্যাহতি গাইবান্ধায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা,কেন্দ্রসচিবসহ ২১ শিক্ষককে অব্যাহতি** **গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান; ৩০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান; ৩০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি** **পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে ওয়ার্ল্ড ভিশনের লার্নিং শেয়ারিং বিষয়ক কর্মশালা পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে ওয়ার্ল্ড ভিশনের লার্নিং শেয়ারিং বিষয়ক কর্মশালা** **গাইবান্ধায় সাবেক সংসদ সদস্য সারওয়ার কবীর কারাগারে গাইবান্ধায় সাবেক সংসদ সদস্য সারওয়ার কবীর কারাগারে** **গাইবান্ধায় জমি-জমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে"থানায় অভিযোগ করায়'বাদীকে হুমকি গাইবান্ধায় জমি-জমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে থানায় অভিযোগ করায় বাদীকে হুমকি**

রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা ও অনুকুল প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি সৃষ্টিতে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে

logoখবরের সময় ডেস্ক:বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩, রাত ১১:২৪ সময় 0167
রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা ও অনুকুল প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি সৃষ্টিতে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে

রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা ও অনুকুল প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি সৃষ্টিতে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে

ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীন
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাসহ প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলো এখন নানা সংকটের কথা বলে রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে, ত্রান সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করছে যা কখনোই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এর পরিণাম ভয়াবহ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকে খুন-অপহরণের মতো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে এবং এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে।


ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউ এফ পি) তহবিলের অভাবে ১ জুন থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাদ্য সহায়তা ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করেছে। এর আগে মার্চ মাসে  মাসিক বরাদ্দ ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে এই বরাদ্দ দুই বার কমানো হল, যা হতাশাব্যঞ্জক। এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাদ্য সংকট বাড়বে এবং ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ত্রানকর্মীরা।  রোহিঙ্গারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের খাদ্য সংস্থান করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জাতিসংঘের দারিদ্র্য বিশেষজ্ঞ ওলিভার ডি শুটার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা 'অত্যন্ত অপর্যাপ্ত' বলে উল্লেখ করে এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। 



রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ছয় বছরে কোন অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে এ ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা রাখতে চীন এগিয়ে এসেছে। চীন চায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হোক। এই সমস্যা সমাধানের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনের ভাবমূর্তিও জড়িত। এই উদ্যোগ  সফল হলে বৈশ্বিক কূটনীতিতে চীনের উত্থান আরও দৃশ্যমান হবে। চীনের উদ্যোগে মিয়ানমারের নেয়া পাইলট প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি চলছে।


স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে ২৪ মে ভাসানচর থেকে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে চারটি রোহিঙ্গা পরিবারের ২৩ জন সদস্য আসে। ইউএনএইচসিআর ৫ জুন তাদের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং সেসময় তাদের খাদ্য সরবরাহের কোন বিকল্প ব্যবস্থাও ছিল না। তখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পরে ৬ জুন থেকে তাদেরকে পুনরায় খাবার দেওয়া শুরু করে ইউএনএইচসিআর। না জনিয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ সরকার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউএনএইচসিআর যাতে বাধা সৃষ্টি না করে সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকায় সংস্থার প্রধানকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ইউএনএইচসিআর প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রেখে,প্রত্যাবাসনে বাধা না দিয়ে সহায়কশক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে বাংলাদেশ আশা করে।  ক্রমাগত ত্রান সহায়তা কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে উদ্ভুত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে ও সেজন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতে বিকল্প ব্যবস্থা, রিজার্ভ ও সামর্থ বাড়াতে হবে। এই ঘটনা থেকে খাদ্য সংকট সমাধানে আরও ভালভাবে প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়টা গুরুত্ব দিতে হবে। 


মিয়ানমার পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতিসংঘকে তাদের দেশে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করতে না দেয়ায় জাতিসংঘ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না এবং জাতিসংঘ মিয়ানমার সরকারের সাথে এই পর্যন্ত কোন সমঝোতায়ও আসতে পারেনি। জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নয়েলিন হেইজেল মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতার কারণে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে না পেরে পদত্যাগ করেছে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত দায়িত্ব নেওয়ার ১৮ মাস পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।


রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দাতাসংস্থা ত্রান ও মানবিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয় নানাভাবে জড়িত। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলমান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশে সাময়িক অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার জন্য ভাসানচরে আরও অবকাঠামো নির্মাণে এবং ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রানসহায়তা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রাখার বিষয়ে চীন ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে সাথে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সময় একটা বড় ফ্যাক্টর। তাই পর্যায়ক্রমে এই প্রক্রিয়া চলমান রাখতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এর সফলতার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।


৮ জুন জাতিসংঘ জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর পাইলট প্রকল্প অবিলম্বে স্থগিত করতে বলেছে। জাতিসংঘের মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ের টম অ্যান্ড্রুস জানায় যে, রাখাইনে ফিরে গেলে রোহিঙ্গারা ব্যাপকতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে নৃশংস অপরাধের শিকারে পরিণত হতে পারে। একই সাথে দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করার দাবিতে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা সমাবেশ করেছে। ৮ জুন, ১৩টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা এই কর্মসূচির আয়োজন করে জানায় যে তারা দ্রুত মিয়ানমারে ফিরতে চায়। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রেষণার মাধ্যমে জাগিয়ে রাখতে হবে এবং পাশাপাশি তাদের জন্য ত্রান সহায়তা চলমান রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। 


দিন দিন রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তার পরিমান কমে আসছে যা কখনই কাম্য নয়। এই প্রবনতা মোকাবেলায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য দ্রুত রিজার্ভ খাদ্য মজুদ গড়ে তুলতে হবে। অন্য যে কোন সহায়তার আগে এই খাদ্য সহায়তার কথা ভাবতে হবে। রোহিঙ্গাদের মানবিক কার্যক্রম ও ত্রান সহায়তায় নিয়োজিত জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠনগুলো, দাতাদেশ ও সংস্থাগুলোর উচ্চপর্যায়ে এই সমস্যার সমাধানে কার্যকরী কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এগুলোর বাস্তবায়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ শুধুমাত্র বাংলাদেশ প্রান্তে সীমিত না রেখে মিয়ানমারকে সাথে নিয়ে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ ও তা দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। মিয়ানমার সরকার ও প্রত্যাবাসনে সহায়তাকারী যে কোন দেশের সাথে সরাসরি অথবা তৃতীয় কোন পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।


চীন প্রত্যাবাসনের এই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসায় মিয়ানমার এই পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের এই পদক্ষেপ তাদের আন্তরিকতা প্রমানে সহায়ক হবে। চলমান এই উদ্যোগে মিয়ানমার আন্তরিক থাকবে এটাই প্রত্যাশা, এই প্রক্রিয়ায় আন্তরিক না হলে মিয়ানমারেরই সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে। চীন বন্ধুভাবাপন্ন প্রতিবেশী দেশের শান্তি ও সংঘাত নিরসনে সার্থক ভূমিকা রাখবে এটাই প্রত্যাশা। এই উদ্যোগ এই অঞ্চলে চীনের কূটনৈতিক সাফল্যের একটা ইতিবাচক মাইলফলক হবে।


রোহিঙ্গা সমস্যা একটা বৈশ্বিক সমস্যা, এই সমস্যা সমাধানে কোন বাধা আসলে তা কেবল বাংলাদেশের উপর না চাপিয়ে এর সমাধানে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থারত রোহিঙ্গাদেরকে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো গত ছয় বছর ধরে ত্রান ও খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে ও আন্তরিকভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ক্রমাগত ত্রান ও খাদ্য সহায়তা কমে যাওয়া রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এজন্য বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো কিভাবে কাজ করবে তা নতুন করে ভাবতে হবে। পশ্চিমা দেশগুলো যদি মিয়ানমারে সরাসরি কাজ না করতে পারে তবে তারা মিয়ানমারের সাথে যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে যেমন, জাপান, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড এই দেশগুলোর মাধ্যমে তাদের সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করতে পারে।যাদের মাধ্যমে কাজ হবে সেসব দেশ, ব্যক্তি ও সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত কর্ম পদ্ধতি ঠিক করা যেতে পারে।


জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেবার যে কোন উদ্যোগকে সমর্থন করে যত দিন পর্যন্ত তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে না পারছে সে পর্যন্ত তাদের ত্রানসহায়তা যেন না কমে তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সমন্বিতভাবে কাজ করলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি আলোর মুখ দেখতে পারে। এই সমস্যা আরও দীর্ঘায়িত হলে তা নানা ধরনের জটিল সমস্যার সৃষ্টি করবে ও ক্রমঅবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর চাপ ফেলবে। কাজেই প্রত্যাবাসনের জন্য নেয়া যে কোন উদ্যোগ কিভাবে সমর্থন করে ত্বরান্বিত করা যায় এবং কাদেরকে সাথে নিলে তা এগিয়ে যাবে এসব বিষয় এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে। সবারই উদ্দেশ্য একটাই, রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ও সম্মানের সাথে ফিরে যেতে পারে,সেই উদ্দেশ্য সামনে রেখে এখন থেকে সব কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।


বিষয়- জাতীয়, জনদূর্ভোগ, আলোচনা,

মন্তব্য


মন্তব্য করতে হলে লগইন করুন অথবা নতুন হলে রেজিস্ট্রেশন করুন

এই বিভাগের আরও খবর


আইটি সম্পাদকঃ সুকান্ত ধর