পলাশবাড়ীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক হারুন মিয়ার বাড়িতে অনশনরত সেতু নামে বিবাহিত এক নারী
তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে :
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অবিবাহিত প্রেমিক হারুন মিয়ার বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন সেতু নামে বিবাহিত এক নারী।সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া মাঝিপাড়া গ্রামে প্রতিবেশী প্রেমিক হারুন মিয়ার বাড়ির গেটের সামনে বসে অনশন শুরু করেন তিনি।প্রেমিক হারুন ওই গ্রামের আতোয়ার মিয়ার ছেলে। অনশনকারী নারী সেতু বেগম প্রতিবেশী নূর আলমের স্ত্রী।
সেতুর স্বামী পেশায় একজন ট্রাক্টর (কাকড়া) চালক এবং প্রেমিক হারুন পেশায় একজন নিরাপত্তা প্রহরী।সেতু বেগম জানান, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রতিবেশী হারুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ এক বছর প্রেমের ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিয়ের কথা বলে সেতুকে বগুড়ায় নিয়ে যান হারুন। সেখানে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সেতুকে নিয়ে বোনের বাড়িসহ আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করেন হারুন।তিনি আরও জানান, পরদিন রোববার সকালে হারুনের সঙ্গে বিয়েতে রাজী বলে তাদের ফিরিয়ে আনে হারুনের পরিবার।
এরপর বিয়ে না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তিন মাস ১০ দিন পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সেতুকে তার বোন সাথী বেগমের জিম্মায় দেন।এদিকে, গোপনে প্রেমিক হারুনকে তার পরিবার অন্যত্র বিয়ে করানোর খবর পেয়ে সেতু বিয়ের দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন।সেতু বলেন, তার স্বামী তাকে আর গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় হারুনের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যা ছাড়া তার কোনো পথ থাকবে না।
অপরদিকে, সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা ও পলাশবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সবুর ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান ও এএসআই সবুর জানান, বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হবে। সেতুকে তার আগের সংসারে পুনর্বহাল অথবা হারুনের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এ পর্যন্ত সেতু তার বোন সাথী বেগমের জিম্মায় থাকবে।