ইউপি সদস্য বাদশা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
তানিন আফরিন গাইবান্ধা থেকেঃ
পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া (৫০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি পাপুল আকন্দকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বাদশা মিয়া পূর্ব নয়নপুর গ্রামের মৃত আমির উদ্দীনের ছেলে।তিনি ওই গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, পাপুল গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার একটি ভাড়াবাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গত রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হল।উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বের) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে
রাস্তার মোড়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ইউপি সদস্য বাদশা।পরদিন মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহতের মেয়ে স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে পাপুল আকন্দকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের নামউল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।স্থানীয়রা জানান, এলাকায় রাতে ছিঁচকে চুরি-ছিনতাই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় আ. হান্নান ও শাফিরুল নামে দুই যুবককে প্রহরী নিয়োগ করেন ইউপি সদস্য বাদশা। পরে প্রহরীরা এলাকায় ঘোষণা করেন, বিনা প্রয়োজনে রাত ১০টার পর বাড়ির
বাইরে কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনের মোড়ে প্রতিবেশী মোসলেম আকন্দ ভোলার ছেলে পাপুল আকন্দসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার থেকে পাঁচজনকে অবস্থান করতে দেখে কারণ জানতে চান প্রহরীরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে বিষয়টি মীমাংসা জন্য এগিয়ে যান ওয়ার্ড সদস্য বাদশা।উভয়পক্ষের কাটাকাটির এক পর্যায়ে পাপুল আকন্দ তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়াকে এলোপাথারি আঘাত করেন। তাকে বাঁচাতে গেলে ভাতিজা সহোদর স্বপন (৩৫) ও সবুজকেও (৩৩) ছুরিকাঘাত করে পাপুল।