খবরের সময় ডেস্ক:
রোববার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সেতু উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন,আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন দৃষ্টিনন্দন পায়রা সেতু দেখতে যাওয়ার ইচ্ছার কথা যদি একটু ব্রিজটার ওপর হাঁটতে পারতাম। তবে সত্যি খুব ভালো লাগতো।
সশরীরে পায়রা সেতু দেখতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেই আপনাদের সঙ্গে গণভবনে বসেও কথা বলতে পারছি, মিলিত হতে পারছি। তবে এটা ঠিক যে আমি যদি সেখানে উপস্থিত থাকতে পারতাম, পায়রা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারতাম বা সেতুতে নেমে যদি একটু দাঁড়াতে পারতাম, পায়রা নদীটা দেখতে পারতাম। ’ যে নদীতে আমি সব সময় স্পিডবোটে চড়েছি সেই নদীর ওপরের ব্রিজে যদি হাঁটতে পারতাম। তবে সত্যি খুব ভালো লাগতো।
করোনা পরিস্থিতির কারণে যেতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু করোনার কারণে আসলে এক প্রকার বন্দি জীবন, সেজন্য আর সেটা হলো না। তবে আমার আকাঙ্ক্ষা আছে একদিন গাড়ি চালিয়ে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, দৃষ্টিনন্দন এ নতুন সেতুটা দেখতে যাবো অবশ্যই।
বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর উপর এ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪৪৭ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। এ সেতু ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও ঝালকাঠির সঙ্গে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাকে সরাসরি সড়ক পথের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ফলে মাওয়া বা আরিচা থেকে পায়রা বন্দর ও সাগরকন্যা কুয়াকাটায় যেতে আর কোনো ফেরির প্রয়োজন হবে না।
১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির প্রস্থ ১৯.৭৬ মিটার। আর সেতুর সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১২৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ২২.৮০ মিটার। এ সেতুতে ৩২টি স্প্যান ও ৩৩৮টি পাইল রয়েছে। যার মধ্যে মূল সেতুর পাইল সংখ্যা ৫২টি। আর এ সেতুর গভীরতম পাইলের দৈর্ঘ্য ১৩০ মিটার, যার সংখ্যা ৪০টি। এছাড়া পিয়ার সংখ্যা ৩১টি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন,আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু,আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ,আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
অপরদিকে বরিশাল প্রান্তে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম,পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া,পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ,পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা,পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনা, সংরক্ষিত ২৯ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আফজাল, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক উভয় সড়কে পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৬-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।