শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুর করে অলি-গলি পর্যন্ত দাঁপিয়ে
বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর (কাঁকড়া)। প্রায় দিনই ঘটছে দূর্ঘটনা, প্রতি মূহূর্তে
আতঙ্কে থাকে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বাবা-মা। প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ অসহায়
মানুষের। আর পকেট ভারি করছে প্রভাবশালী ও অসাধু ব্যক্তিরা। প্রতিদিন কাক
ডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রাম থেকে শুর করে উপজেলা সদরের ব্যস্ততম
সকল রাস্তার সবখানে এই যন্ত্রদানব অবৈধ ট্রাক্টর (কাঁকড়া) স্বগৌরবে
দাঁপিয়ে বেড়া”েছ। চালকের লাইসেন্স তো দূরের কথা! চালানোরও নেই কোনো
অভিজ্ঞতা। ছোট ছোট ছেলেদের দিয়ে চালানো হচে্ছ এসব কাঁকড়া নামক
ট্রাক্টর। আইন অমান্য করে এসব কাঁকড়া চলাচলের ফলে একদিকে যেমন জীবন
হারা”েছ পথচারী সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে
নির্মিত রাস্তাঘাট। ট্রাক্টর-ট্রলি সড়কে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ
যন্ত্রদানবের চালকরা তা মানছেই না। দ্রুতগতির ফলে সড়ক গুলোতে প্রতিদিন
দূর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। সাধারন মানুষ জানায়, প্রভাবশালীরা বীরদর্পে আগের
চেয়ে বহু গুণে এসব মরণযান সড়কে নামিয়ে মাটি-বালি তুলে মাটির শ্রেণি
পরিবর্তন করে চলেছে। মাটি হারাচ্ছে ফসল ফলানোর ক্ষমতা। জমির পাশ দিয়ে বালি
মাটি বহনের ফলে ধুলা মাটি উড়ে পড়ছে ফসলের ওপর। ফলে জমির ফলন ব্যাপকহারে
হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কাঁকড়া জমি থেকে মাটি নিয়ে এক
¯’ান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ায় কিছু মাটি রাস্তায় পড়ে যায়, ঘন
কুয়াশায় রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি গুলো খুবই পিচিছল হয়ে থাকে ফলে
প্রতিদিন অসংখ্য মোটর সাইকেল চালক দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে এবং ইতিমধ্যে
অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। আইন অমান্য করে মরনযান এসব কাঁকড়া রাস্তায়
চলাচল করলেও অদ্যাবধি অদৃশ্য কারনে আইনগত কোন ব্যব¯’া গ্রহণ করছেন না
প্রশাসন। সচেতন মহল মনে করছেন, এখনই যদি এ যন্ত্রদানবকে থামানো না যায়
তাহলে মৃত্যুর মিছিল এবং পঙ্গু লোকের সারি আরও অনেক বড় হবে। সন্তান
হারাবে তাদের পিতা-মাতা। আর পিতা-মাতা হারাবে তাদের আদরের সোনামনিদের।
মেধাবী শিক্ষার্থীরা হারাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শোকের মিছিলে পরিণত হবে
সড়ক। সেই সাথে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের রাস্তাগুলো হবে চলাচলে
অযোগ্য। এমন অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন
মহল ।