সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ২:৫৪ সময়

ব্রেকিং নিউজ **বিএনপির ৩সংগঠনের লংমার্চ নয়াপল্টন টু আগরতলা বিএনপির ৩সংগঠনের লংমার্চ নয়াপল্টন টু আগরতলা** **বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় ভারত:বিক্রম মিশ্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় ভারত:বিক্রম মিশ্রী** **পীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত পীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত** **ছবি; চিকিৎসাধীন সাকিব আলী সরদার গাজীপুরে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন জয়দেবপুর থানা পুলিশ** **ভারতের সেবাদানকারী প্রতিষ্টান হিসেবে আওয়ামীলীগের সুখ্যাতি আছে: নুরুল হক নুর ভারতের সেবাদানকারী প্রতিষ্টান হিসেবে আওয়ামীলীগের সুখ্যাতি আছে: নুরুল হক নুর** **ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারে বিহার-ওড়িশার মালিকানা দাবিতে সোচ্চার হবে বাঙালী: রিজভী ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারে বিহার-ওড়িশার মালিকানা দাবিতে সোচ্চার হবে বাঙালী: রিজভী** **ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে মশাল মিছিল ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে মশাল মিছিল** **ছবি; পীরগঞ্জে আলমপুর ইউপি পীরগঞ্জে প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে** **পীরগঞ্জে গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম পীরগঞ্জে গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম** **নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার হওয়া উচিত;শিবির সভাপতি মন্জুরুল ইসলাম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার হওয়া উচিত;শিবির সভাপতি মন্জুরুল ইসলাম** **মব জাস্টিস ও গ্রেফতারের ভয়ে ভুগছে অসংখ্য পুলিশ মব জাস্টিস ও গ্রেফতারের ভয়ে ভুগছে অসংখ্য পুলিশ** **গাজীপুরে আইএফআইসি ব্যাংকের আর্থিক সাক্ষরতায় নিরাপদ ভবিষ্যৎ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত গাজীপুরে আইএফআইসি ব্যাংকের আর্থিক সাক্ষরতায় নিরাপদ ভবিষ্যৎ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত** **বাংলাদেশে সম্পর্কিত প্রপাগান্ডা তথ্য প্রকাশ করায় ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট বাংলাদেশে সম্পর্কিত প্রপাগান্ডা তথ্য প্রকাশ করায় ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট** **এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক এর আত্মপ্রকাশ এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক এর আত্মপ্রকাশ** **গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ,যুবদল নেতা আহত গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ,যুবদল নেতা আহত** **ছবি: সেনা প্রধান,ওয়াকার-উজ-জামান এই দেশ ও জাতিকে নিরাপদ আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই : সেনাপ্রধান** **সকলক্ষেত্রে স্বৈরাচারযুক্ত,জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই: জামায়াত আমির সকলক্ষেত্রে স্বৈরাচারযুক্ত,জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই: জামায়াত আমির** **বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামি খালাস বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামি খালাস** **পীরগঞ্জ প্রাণী সম্পদ বিভাগে জনবল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত পীরগঞ্জ প্রাণী সম্পদ বিভাগে জনবল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত** **গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর মাস্টার প্যারেড ও কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর মাস্টার প্যারেড ও কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত**

‘ভয়ঙ্কর রোগের নাম থ্যালাসিমিয়া ”

logoডাঃমুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদশনিবার, ১৩ জুন ২০২০, রাত ১০:৪৪ সময় 0163
‘ভয়ঙ্কর রোগের নাম থ্যালাসিমিয়া ”

‘ভয়ঙ্কর রোগের নাম থ্যালাসিমিয়া ”

ডাঃমুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রোগ হলেও সহজে প্রতিরোধযোগ্য। এটি একটি বংশগত রোগ হওয়ায় বাবা-মা দুজনেই এই রোগের বাহক হলে সন্তানও আক্রান্ত হতে পারে। আর এ কারণে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ নিজের অজান্তে হয়ে উঠছেন এ রোগের বাহক, শিশুরা বংশগতভাবে তাদের পিতা- মাতা থেকে পেয়ে থাকে।বিজ্ঞানীদের মতে,সাধারণত চাচাত ভাই- বোনদের মধ্যে বিয়ে হলে সন্তানদের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।এই রোগীদের রক্তের লাল কণিকা( RBC) তাড়াতাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।ফলে তাদের রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকে এবং আয়রণের পরিমাণ বেড়ে যায়।এই কারণে এদেরকে ২০ থেকে ৩০ দিন পরপর রক্ত দিতে হয় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত আয়রণ বের করার জন্য ঔষধ খেতে হয়।খুব ছোট শিশুদের মধ্যে রক্তশূণ্যতা,জ্বর,শারীরিক বৃদ্ধি না হওয়া,প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখে থ্যালাসেমিয়া রোগ সন্দেহ করেন এবংরক্তের বিশেষ মাইক্রোস্কোপিক

পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে নিশ্চিতহন।যেহেতু এই রোগের চিকিৎসায় প্রচুর টাকা খরচ হয়,সেহেতু মধ্যবিও বা দরিদ্ররা এই রোগে আক্রান্ত হলে ভিখারী হতে বেশী সময় লাগে না।এতো পয়সা খরচ করেও এসব শিশুদেরকে সাধারনত বিশ- এিশ বছরের বেশী বাচাঁনো যায় না।ধ্বংসপ্রাপ্ত লাল কণিকা থেকে নির্গত আয়রণের লিভার,হৎপিন্ড এবংপেনক্রিয়াসে জমা হতে থাকে একংশরীরের অতিরিক্ত আয়রণের বিষক্রিয়ায় এরা লিভার সিরোসিস,হার্ট ফেইলিওর,প্লীহা বড় হওয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয় এবং এদের শরীরে যৌবনের আগমণ ঘটে বিলম্বে আর এদের শারীরিক বৃদ্ধিও তেমন একটা ঘটেনা।আজ থ্যালাসেমিয়া নিয়ে কলাম লিখেছেন,বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক, ডা.এম এ মাজেদ তিনি  তার কলামে লিখেন, বর্ততমানে থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেনস্বল্পতাবা“অ্যানিমিয়া”তে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি ঘটতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিনের কারণে থ্যালাসেমিয়া হয়। বাবা অথবা মা, অথবা বাবা- মা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়া জীন থাকলে বংশানুক্রমে এটি সন্তানের মধ্যে ছড়ায়।

থ্যালাসেমিয়া দুইটি প্রধান ধরনের হতে পারে: আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বেটা থ্যালাসেমিয়া। সাধারণভাবে আলফা থ্যালাসেমিয়া ß থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র। আলফা থ্যালাসেমিয়াবিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে বেটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি; এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমত চিকিৎসা না করলে এটি শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

 বিশ্বে বেটা থ্যালাসেমিয়ার চেয়ে আলফা থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি। আলফা থ্যালাসেমিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীনের সর্বত্র এবং কখনও কখনও ভূমধ্যসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের লোকদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।আর এটি একটি মারাক্ত জেনিটিক ডিজিজ বিধায় খুব একটা নিরাময় হয় না বলে সবাই বিশ্বাস করত।তবে ইদানীং বিভিন্ন দেশের অনেক হোমিওবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অগণিত থ্যালাসিমিয়া রোগীকে সমপুর্ণরুপে আরোগ্য করার দাবী করেছেন যাদের ডিসচার্জ করার পর পাচঁ ছয় বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।হোমিওস্পেশালিষ্টদের মতে,শতকরা ৫০ ভাগ থ্যালাসেমিয়া রোগীকে হোমিওচিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি রোগ মুক্ত করা আল্লাহর রহমতে সম্ভব।আর অবশিষ্ট থ্যালাসেমিয়া রোগীরা পুরা পুরী রোগমুক্ত না হলেও হোমিওচিকিৎসায় তাদের অবস্থা এতটাই উন্নত হয় যে,অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা নিলে মাসে বা বছরে একবার রক্ত নিলেই চলে।হ্যাঁ,হোমিওপ্যাথিতে মনো-দৈহিক গঠনগত চিকিৎসা কন্সটিটিউশনাল নামে এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে যার অর্থ হলো রোগের লক্ষণ,রোগীর শারীরিক লক্ষণ,রোগীর মানসিক লক্ষণ,রোগীর বংশগত রোগের ইতিহাস ইত্যাদি বিচার করে ঔষধ নির্বাচন করা।এতে চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে প্রচুর সময় দিতে হয় এবং তাকে অনেক চিন্তা- ভাবনা করতে হয়।হোমিওপ্যাথির দুইশ বছরের ইতিহাসে দেখা গেছে যে,এমন সব কঠিন রোগও খুব সহজে নিরাময় হয়ে যায় য়া অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একেবারে অবিশ্বাস্য মনে করা হয়ে থাকে।থ্যালাসেমিয়া থেকে মুক্তির জন্য  একজন হোমিওবিশেষজ্ঞেরর পরামর্শ মতো চলা উচিত,যিনি রোগীর শারীরিক,মানসিক,পারিবারিক লক্ষণ বিবেচনা করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করে থাকে,কিন্ত দুঃখের বিষয় যে, ইদানিং কিছু কিছু হোমিওচিকিৎসক বের হয়েছে তারা কোন রোগীর লক্ষণ নির্বাচন না করে, থ্যালাসেমিয়ার রোগীকে পেটেন্ট,টনিক দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে,ঐসব ডাক্তার বাবুদের কে ডাঃহানেমান বলে থাকে শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ।

হোমিওপ্রতিবিধানঃ রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসাকরা হয়। এই জন্য অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকগন যেই সব ঔষধ ব্যবহার করে থাকে,সিয়ানোথাস,এসিড সালফ,ফেরাম মেট,আর্সেনিক এল্ব,অ্যান্ড্রাগ্রাফিস,চায়না,কার্ডুয়াস মেরী,ক্যালকেরিয়া ফ্লোর,ইউক্যালিপটাস, আলফালফা,থুজা,মেডোরিনাম সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে।সাবধান অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক ছাড়া ঔষধ নিজে নিজে ব্যাবহার করলে রোগ আরো জটিল আকারে পৌঁছতে পারে।

বিষয়- স্বাস্থ্য, সংগঠন,

মন্তব্য


মন্তব্য করতে হলে লগইন করুন অথবা নতুন হলে রেজিস্ট্রেশন করুন

এই বিভাগের আরও খবর


আইটি সম্পাদকঃ সুকান্ত ধর