সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সকাল ৯:২ সময়
ছবি; রিংকু-বুলবুল বিদ্যুৎ
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রানা :
গাইবান্ধায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। পরে এদিন গভীর রাতে নিজ নিজ উপজেলা পরিষদের হলরুমে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
গাইবান্ধার সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. আমিনুর জামান রিংকু। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৫৪ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইস্তেকুর রহমান সরকার কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৪৪ ভোট।
ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম মিলন। তিনি চশমা প্রতীকে ৩৭ হাজার ৩৭১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শরিফুল ইসলাম সনজু ২৮ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোর্শেদা বেগম পদ্মফুল প্রতীকে ৯৯ হাজার ৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী খাতুন ১৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়েছেন।
এ উপজেলায় ভোটার ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৯ জন। চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মো. তৌহিদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৭৪ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরহাদ হোসেন তালা প্রতীকে ২৪ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রিপন মিয়া ২০ হাজার ৭৮৪ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারা বেগম কলস প্রতীকে ২১ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী রিক্তা বেগম ফুটবল প্রতীকে ১৭ হাজার ৮৬৭ ভোট পেয়েছেন।
এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ২০৯ জন। চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাকিল আলম বুলবুল। তিনি আনারস প্রতীকে ৯১ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. লতিফ প্রধান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮২ হাজার ৪৮ ভোট পেয়েছেন।
চশমা প্রতীকে ৬৫ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এম এ মতিন মোল্লা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শরিফুল ইসলাম তাজু মাইক প্রতীকে ৫৭ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া রায় পাখি সেলাই মেশিন প্রতীকে ৪৫ হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উম্মেজান রিংকু প্রজাপতি প্রতীকে ৩৪ হাজার ৫২ ভোট পেয়েছেন।
এ উপজেলায় ভোটার ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৫ জন। চেয়ারম্যান পদে দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, গাইবান্ধায় তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনি এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সকে দিকনির্দেশনা দিতে ৪৫ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন পালনের পাশাপাশি তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ছয় প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের দুটি করে মোট ছয়টি টিমসহ প্রতি কেন্দ্রে পাঁচজন পুলিশ ও ১৩ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।