খবরের সময় ডেস্ক:
অতি উৎসাহী আওয়ামী লীগ নেতা,তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মুরাদ হাসানের নিয়োগের অবসান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর রাতে তাঁর নিয়োগের অবসান ঘটিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
নারীদের নিয়ে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অডিও-ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তোপের মুখে ছিলেন মুরাদ হাসান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে মঙ্গলবারের মধ্যে মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় নিজের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে পদত্যাগপত্র ই-মেইল করেন তিনি। এরপর সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মুরাদের নিয়োগের অবসান করে প্রজ্ঞাপন জারি করলো।
সংক্ষিপ্ত পদ বিচরণ:
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে মন্ত্রিসভা সাজান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের ১৯ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে মুরাদকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ওই দিন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে শুধু স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারকে শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শ ম রেজাউল করিমকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এবং সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ মারা যান। এরপর ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ফরিদুল হক খানকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ গত ১৫ জুলাই শামসুল আলমকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন শেখ হাসিনা।