আলমগীর কবীর:
সারাদেশে বিশেষ করে করোনা কালীন সময়ে ভূয়া ড্রাগ লাইসেন্সে জীবনরক্ষাকারী নকল ওষুধে সয়লাব,অলি গলিতে ব্যাঙ্গের ছাতার মত রাতারাতি গড়ে উঠছে । জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকানগুলো যেন মুদিদোকানীদের মত ।ইচ্ছে হলেই নাম সর্বস্ব মুদিদোকানীদের মত ওষুধের দোকান একন হািতের নাগালে । বিশেষ করে ঘনবসতি এলাকাগুলোতে এসব ওষধের দোকান বেশি দেখা যায় ।অশিক্ষি,অর্ধশিক্ষিত,তুলনামুলক কম শিক্ষিত,খেটে খাওয়া মানুষগুলো যত্রতত্র নামসর্বস্ব কোম্পানীর ওষুধ খেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হচ্ছে । কোনকোন ক্ষেত্রে দোকানীরাই প্রেসক্রীপশন লিখে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে ।সম্প্রতি ভূয়া ড্রাগ লাইসেন্সে জীবনরক্ষাকারী নকল ওষুধ তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।
গত সোমবার (১৬ অগাস্ট) দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা,সাভার ও পিরোজপুরে নেছারাবাদ বিসিক শিল্প এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো ফয়সাল,মোবারক, নাসির,ওহিদুল,মামুন,আবু নাঈম ও মো. ফয়সাল।
এসময় তাদের কাছ থেকে মানুষের জীবন রক্ষায় বহুল ব্যবহৃত মন্টিলুকাস্ট,ওমিপ্রাজল ও সেফিক্সিম গ্রুপের নকল বিপুল পরিমাণ ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন,করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে আমাদের জীবন জনজীবন বিপর্যস্ত। তখন একটি অসাধুচক্র এসব নকল ওষুধ বাজারজাত করছে। চক্রের মূলহোতা ফয়সালের নামে সাভার ও পিরোজপুরে দুটি কারখানা রয়েছে। সে ভুয়া ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে নকল ওষুধ তৈরি করে। ফয়সাল মূলত আতিয়ার নামক একজনের কাছ থেকে বাজারে ব্যাপক প্রচলিত নামিদামি ব্র্যান্ডের ওষুধ নিয়ে মিটফোর্ডের কেমিক্যাল ব্যবসায়ী মুহিবের কাছ থেকে কেমিক্যাল সংগ্রহ করে তার কারখানায় এসব ওষুধ তৈরি করতো।
নকল এসব ওষুধ তৈরি করার পর মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপ বাজারজাত করতো। গ্রেপ্তারকৃত নাঈম এসব নকল ওষুধের জন্য সব প্যাকেজিং মেট্রিয়াল তৈরি করে দিতে। গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা তৈরিকৃত এসব নকল ওষধ বাজার মূল্যের চেয়ে নামমাত্র মূল্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো।
তিনি আরও বলেন, নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নকল ওষুধ সরবরাহ এবং বিক্রি করে আসছিল। নকল এসব ওষুধ খেয়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ তো দূরের কথা মানুষকে আরও জীবন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।