বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, সকাল ৯:৩১ সময়

ব্রেকিং নিউজ **গাইবান্ধায় মে দিবসের কর্মসূচিতে হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু গাইবান্ধায় মে দিবসের কর্মসূচিতে হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু** **মানবতার ফেরিওয়ালা মিল্টন সমাদ্দার এখন ডিবি’র জালে আটক মানবতার ফেরিওয়ালা মিল্টন সমাদ্দার এখন ডিবি’র জালে আটক** **গাজীপুরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মে দিবস ২০২৪ পালিত গাজীপুরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মে দিবস২০২৪ পালিত** **ছবি: ৯ মামলার আসামী সেলিম মেম্বার ও ৬ মামলার আসামী অর্ণব কালীগঞ্জে ৯ মামলার আসামী সেলিম মেম্বারসহ ৬ মামলার আসামী অর্ণব গ্রেপ্তার** **গাজীপুরে জমি মাপার সময় অস্ত্রের মহড়া গাজীপুরে জমি মাপার সময় অস্ত্রের মহড়া** **ফুলছড়িতে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ফুলছড়িতে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন** **অনলাইন জুয়ার নেশায় খুন হলো জাকারিয়া হোসেন সম্রাট সাঘাটায় অনলাইন জুয়ার নেশায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন** **গাজীপুরে অপহরণের ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি শিশু নোমান গাজীপুরে অপহরণের ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি শিশু নোমান** **গাজীপরে অটোচালক হত্যার দুই আসামী গ্রেপ্তার গাজীপরে অটোচালক হত্যার দুই আসামী গ্রেপ্তার** **উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়... উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়** **কথায় কথায় তালাকের সংখ্যা বাড়ছে,ভবিষ্যৎ কোন দিকে কথায় কথায় তালাকের সংখ্যা বাড়ছে,ভবিষ্যৎ কোন দিকে** **মিয়ানমারের সাথে সংঘাত-পরবর্তী সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নিতে হবে মিয়ানমারের সাথে সংঘাত-পরবর্তী সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নিতে হবে** **গাইবান্ধায় প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার বিতরণ গাইবান্ধায় প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার বিতরণ** **গাজীপুরের শ্রীপুরে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন গাজীপুরের শ্রীপুরে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন** **ছবি;গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম (পিপিএম সেবা) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম (পিপিএম সেবা) এর পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা** **শপথ নিলেন কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শপথ নিলেন কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান** **গাজীপুরে মাদকাসক্ত বেপরোয়া ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলেন পিতা গাজীপুরে মাদকাসক্ত বেপরোয়া ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলেন পিতা** **ছবি;গোলাম মুস্তাফিজুর রহমান রানা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থানে গোলাম মুস্তাফিজুর রহমান রানা** **গাজীপুরে হার পাওয়ার প্রজেক্টের উদ্যোগে নারীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ গাজীপুরে হার পাওয়ার প্রজেক্টের উদ্যোগে নারীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ** **গাসিক ৪০ নম্বর ওয়ার্ড ইছালি এলাকায় রাস্তার উপর বেরিয়ার,বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংঙ্খা রাস্তায় লোহার বেরিয়ার পূবাইলে জনদুর্ভোগ চরমে‌,ঘটতে পারে দূর্ঘটনা**

কথায় কথায় তালাকের সংখ্যা বাড়ছে,ভবিষ্যৎ কোন দিকে

logoখবরের সময় ডেস্ক:বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪, বিকাল ৭:৩৫ সময় 081
কথায় কথায় তালাকের সংখ্যা বাড়ছে,ভবিষ্যৎ কোন দিকে

কথায় কথায় তালাকের সংখ্যা বাড়ছে,ভবিষ্যৎ কোন দিকে

  দেশে বিবাহ বিচ্ছেদর হার বেড়েছে। এর নেপথ্যে বড় কারণ হলো বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং দাম্পত্যজীবনে বনিবনার অভাব। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন চরমভাবে বিরোধ দেখা দেয়, মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ ও জীবনযাপন যখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তখন মধুর সম্পর্ক তালাকের মাধ্যমে ছিন্ন করা হয়। ন্যায়সঙ্গত কারণে তালাক ইসলামে বৈধ। তবে এটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট বৈধ কাজ।

কিন্তু শিক্ষিত ও অভিজাত পরিবারে তালাকের ঘটনা ঘটছে অহরহ। তবে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও পরিবারগুলোতে তালাক এখন সাধারণ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতোগুলো তালাকের ঘটনা ঘটছে তার কারণগুলো প্রায় একই। এতে বেশির ভাগই আবেদন করছে নারীরা। যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, পুরুষত্বহীনতাসহ বিভিন্ন কারণ।


অন্যদিকে বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামীরা।

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, তালাকের নোটিশ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে তালাকের আবেদন নথিভুক্ত হয়। তারপর সেখান থেকে তালাকের আবেদন স্বামী এবং স্ত্রী সিটি কর্পোরেশনের কোন অঞ্চলে বাস করেন, সেই অনুযায়ী ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়। পরে আবেদনকারী ও বিবাদী উভয়পক্ষকেই আপসের নোটিশ পাঠান সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)। দুই পক্ষের মধ্যে আপস না হলে সিটি কর্পোরেশনের আর কোনো দায়িত্ব থাকে না। আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপস বা প্রত্যাহার আবেদন না করলেও তালাক কার্যকর হয়ে যায়। বিবিএস বলছে, তারা তালাক হওয়া মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে জরিপ করেছে।

ফলে এই জরিপের মাধ্যমেই আসল কারণ উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, তালাকের বড় কারণ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন। এরপর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা, যা ২২ শতাংশ। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অসামর্থ্য অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়। ২০২৩ সালে তালাকের হার ছিল প্রতি ১০ হাজারে ১১টি। ২০২০ ও ২০২১ সালে গ্রাম এলাকায় তালাকের সংখ্যা ছিল প্রতি ১০ হাজারে যথাক্রমে ৮টি ও ৯ টি। শহরে ছিল ৭টি ও ৮টি। ২০২২ সালে অবশ্য গ্রাম এলাকায় তালাকের হার আরও বেশি প্রতি ১০ হাজারে ১৫টি।
 শহরে যা ছিল ১০টি। বিয়ে করা মানুষের অধিকার, তবে সেটি হলো ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর হলে এবং মেয়েদের ১৮ বছর। কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে দেশে বাল্যবিবাহের অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি হয়েছে।' প্রতি হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে বিয়ের সংখ্যাকে স্থূল বিয়ের হার বলা হয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে স্থূল বিয়ের হার এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ (প্রতি হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ১৮.১) লক্ষ করা গেছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, তার ২ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামীর সাথে অন্য এক নারীর সাথে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। বার বার নিষেধ করার পরও কিছুতেই তার স্বামী ফিরেনি বরং তাকে বিভিন্নভাবে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করা হত। ফলে এক পর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সবচেয়ে বেশি তালাক হয়েছে ঢাকা বিভাগে, কম ময়মনসিংহ বিভাগে। দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতায় তালাক বেশি বরিশালে, কম সিলেটে। ভরণপোষণ দিতে অসামর্থ্যতার কারণে তালাক বেশি রাজশাহীতে, কম চট্টগ্রামে। পারিবারিক চাপে তালাক বেশি ময়মনসিংহে, কম ঢাকায়।


নির্যাতনের কারণেও তালাক বেশি হয়েছে ময়মনসিংহে, কম রাজশাহীতে। যৌন অক্ষমতা অথবা অনীহার কারণে রংপুরে তালাক বেশি হয়েছে। বরিশালে এ ক্ষেত্রে হার শূন্য। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তালাকের ঘটনা বেশি ঘটছে সিলেটে। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে তালাকের ঘটনা। এতে বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ভেঙে যাচ্ছে সংসার ও পারিবারিক বন্ধন। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন। সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আগের চেয়ে নারীরা স্বাবলম্বী, স্বাধীন মনোভাব, নারীদের উচ্চ বেতনে চাকরি, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা, নির্যাতন সহ্য না করা এবং প্রতিবাদ করার মনোভাবের কারণে তালাকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে। কোন কোন সংসারে সন্তান থাকা অবস্থায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাকের ঘটনা ঘটে। ওই সংসারের সন্তানটি শিশু অবস্থায়ই অভিভাবক শূন্য হয়ে পরে। এতে করে সে প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে উঠবে। পরবর্তীতে অপরাধী হয়ে সমাজে বেড়ে উঠার আশঙ্কা থেকে যায়।

বিষয়- আলোচনা, খবরের সময় ডেস্ক,

মন্তব্য


মন্তব্য করতে হলে লগইন করুন অথবা নতুন হলে রেজিস্ট্রেশন করুন

এই বিভাগের আরও খবর


আইটি সম্পাদকঃ সুকান্ত ধর