ডিজেল,অকটেন,পেট্রোল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে সবদিকে
গতকাল শুক্রবার ৫আগস্ট ২০২২ইং এ হুট করে এত বেশি দাম বাড়ানোর চাপ দেশের অর্থনীতি নিতে পারবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, এখন থেকে ডিজেলের দাম হবে ১১৪ টাকা লিটার,যা এতো দিন ৮০ টাকা ছিলো। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৪ টাকা। কেরোসিনের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর ডিজেলের সমান,অর্থাৎ ১১৪ টাকা লিটার। দেশের সাধারণ মনে করছেন এমন সিদ্ধান্ত অশনি সংকেত ।
হুট করে এত বেশি দাম বাড়ানোর চাপ দেশের অর্থনীতি নিতে পারবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন,দাম কিছুটা বাড়ানো হবে,এই আশঙ্কা ছিলো। তবে সেটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা যেতো। যতটা বাড়ানো হয়েছে, তা দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবদিকে প্রভাব ফেলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসাইন সিদ্দিকী বলেন, আমাদের বর্তমান মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানির দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে। তবে সেটির একটা নির্দিষ্ট লিমিট আছে। যাতে এটি গ্রাহক পর্যায়ে প্রভাব ফেলতে না পারে। কিন্তু হঠাৎ করে এতো বেশি বেড়ে যাওয়ার সাথে জ্বালানি রিলেটেড অন্যান্য বিষয়েও প্রভাব ফেলবে। সেটি পাবলিক পর্যায়ে বেশি হবে। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিলো
অন্যান্য সব বিষয়ও বিবেচনায় নিয়ে দাম বাড়ানো। এখন এটি সাধারণ পাবলিকের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন,আমরা যদি দেখি গতবছরের মূল্যস্ফীতি তুলনায় এবছর মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি বেড়েছে। যেটি আগামিতে ডাবল হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি খুবই আশঙ্কাজনক।
মূল্যস্ফীতি যখন আরো বেড়ে যাবে তখন বিভিন্ন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দিবে এবং সেটি তখন আরো বেশি প্রভাব ফেলবে। তাই জ্বালানির দাম এতো বেশি বাড়ানোটা সরকারের কতটা যৌক্তিক হয়েছে, সেটা বিবেচনার দাবি রাখে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকার বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মূল্য বাড়িয়েছে। এই বৃদ্ধি সাধারণ জনগণ পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে, এটা নিশ্চিত। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় দাম বাড়তে পারে।