সুন্দরগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ভাগ্য ফিরেছে ১৬৯২ পরিবারের
বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ থেকেঃ
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে ভাগ্য ফিরেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৬৯২ পরিবারের।এক সময় জরাজীর্ণ ভাঙাচোরা খুপরি ঘরে দিন কাটলেও,পাল্টে গেছে সেই চিত্র। বাড়ির উঠানে শাকসবজি আবাদ করেও মিটছে বাড়তি চাহিদা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মন খুলে দোয়াও করছেন অনেকে।
গাইবান্ধা জেলার মধ্যে ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা।বৃহৎ এই উপজেলায় ভূমিহীনদের জীবনের আক্ষেপ মুছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের জন্য এক অভাবনীয় স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ। ভূমিহীনরা পেয়েছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল করতে নিয়েছেন সেরা পদক্ষেপ। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পের ১৬৯২ টি ঘরের কাজ শেষ।পাকা ঘর রান্না ঘর, পাকা বারান্দা পেয়ে বেজায় খুশি আশ্রয় ছিল না এমন ভূমিহীনরা। শ্রীপুর,কাপাশিয়া, তারাপুর সহ সকল ইউনিয়নের কাজের মান মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। নদী পেরিয়ে দুর্গম চরে ঘর গুলোর বাস্তবায়নও যেন চমকে দেওয়ার মতো।
সুবিধাভোগীরা বলেন,আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে আমরা বেজায় খুশি।একেকটি বাড়ি আমাদের স্বপ্নের ঠিকানা। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ঘরগুলো আমাদের মনে জাগিয়েছে স্বপ্ন,পেয়েছি জায়গা সহ ঘর।বাড়ি উঠানে শাকসবজি আবাদ করেও,মিটছে সংসারের চাহিদা।
রহিমা বেগম বলেন,জীবনের এতগুলো বছর নিজের বলে কিছু ছিল না। কোনদিন ভাবিনি নিজের ভালো একটা ঠিকানা হবে। বর্তমান সরকার আমাদের মতো গরিবের দিকে তাকানোর ফলে থাকার জায়গা পেয়েছি। অন্তত নিজের বলে তো কিছু একটা আছে! তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি প্রধানমন্ত্রীকে যেন ভালো ও সুস্থ রাখে। তিনি যেন অনেক দিন বেঁচে থাকেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফরুজা বারী বলেন, সারাদেশের ন্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১৬৯২ টি পরিবার পেয়েছেন আশ্রয়স্থল।পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সহ বাড়ির উঠানে শাকসবজি আবাদ করে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রকল বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বলেন,বৃহৎ এই উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহার প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের নির্মাণ কাজ ভালো করার চেষ্টা করছি,কারন এই ঘর গুলো অসহায় মানুষদের আশ্রয়স্থল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশের একটি মানুষ ও গৃহহীন থাকবে না।আর সেই লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ঘোষণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।