গাইবান্ধা শহরে ইভটিজিং,থানায় মামলা দায়ের বখাটে রুপম আটক
মোঃ মোনায়েম হোসেন মন্ডল:
গাইবান্ধা শহরের পূর্বপাড়ায (পুরাতন বাজার সংলগ্ন সাহাপাড়া) এলাকায় ইভটিজিং করায় সংশ্লিষ্ট থানায় বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত বখাটে যুবক ইসতিয়াক আহমেদ রুপমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, গাইবান্ধা শহরের উল্লেখিত এলাকার জনৈক আনজু মনোয়ারা বেগমের স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় ও স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব সহ বিভিন্ন অঙ্গিভঙ্গিতে প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন আপুর পুত্র ইসতিয়াক আহমেদ রুপম দীর্ঘদিন থেকে উত্যক্ত করতো। শুধু তাই নয়, আনজু মনোয়ারার কন্যা স্কুল বা বাসার বাইরে বের হলেই উল্লেখিত বখাটে যুবক রুপম তার পিছু নিতো, আজেবাজে কথা বলতো, অশালীন ইশারা-ইঙ্গিত ও অঙ্গিভঙ্গি করতো, যা স্কুল পড়ুয়া কন্যা বাসায় এসে মা, ভাইকে জানাতো। ইতোপূর্বে উল্লেখিত পন্থায় ইভটিজিং করলেও নিজের মানসম্মানের ভয়ে তারা কাউকে কিছু বলতো না। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ আগষ্ট/২০২১ ইং রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বাসার পাশের ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ আনতে বের হলে পুরাতন বাজারের গলির মাথায় পৌঁছা মাত্র বখাটে যুবক ইসতিয়াক আহমেদ রুপম ও অজ্ঞাত আরো দুই যুবক সহ পথরোধ করে কথা বলার চেষ্টা করে। সে কথা না বলে পাশ কেটে যেতে ধরলে বখাটে রুপম অসৎ উদ্দেশ্যে জাপটে ধরে এবং ওড়না কেরে নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। এ সময় সে তার হাত খুলে দৌড়ে ঔষধের দোকান "সিটি মেডিকেল স্টোর" এর ভিতরে যায়। উল্লেখিত ঘটনার সোরগোল শুনে ইতোমধ্যে বখাটে ইসতিয়াক আহমেদ রুপমের পিতা আনোয়ার হোসেন আপু আসলে তাকে বিচার দেয়া হয়। আনোয়ার হোসেন আপু কোন বিচার না করে আরো মেয়ের ক্ষতি করার জন্য ছেলেকে উস্কে দেয়। ফলে নিরুপায় হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় উল্লেখিত ইভটিজিং এর বর্ননা দিয়ে বখাটে রুপম ও আরো অজ্ঞাত দুই জনকে আসামি করে গত ১৮ আগষ্ট/২০২১ ইং তারিখে মামলা নং ২৯ দায়ের করা হয়। গাইবান্ধা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বখাটে রুপমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।