ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক,অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে থসড়া
আলমগীর কবীর:
গ্রাম থেকে শহর,শহর থেকে গ্রাম,উপজেলা,জেলা শহর এমনকি রাজধানীর বেশকিছু এলাকার অলিতেগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার যান। কোন রকম নজরদারি না থাকায় ইচ্ছেমতো সড়ক-মহাসড়কে চলাচল করে আসছে অটোরিকশা। যানজট,দুর্ঘটনা সবকিছুরই অন্যতম কারণ ত্রিচক্র যান।
সরকার এসব তিন চাকার পরিবহন বন্ধের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার এবার রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে যাচ্ছে তিন চাকার যানবাহনকে। রাজধানীতে বিআরটি এর এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানালেন,সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ।
মন্ত্রী বলেন,সড়ক মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধেই থ্রি হুইলারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার পাশাপাশি ভোগান্তি কমবে বলে মনে করেন সাধারন মানুষ।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলে অনুমোদনের জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করার কথা জানান মন্ত্রী।
এদিকে আইনের প্রয়োগবিধি যথাযথ হওয়ায় হঠাৎ করেই যেন ফাঁকা হয়ে গেছে গাজীপুর মহানগরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক,ভোগরা বাইপাস টু চন্দ্রা মহাসড়ক। গত ১৪ জুলাই ২০২২ইং থেকে গাজীপুর মহানগর এলাকার মহাসড়কে ইজিবাইক,ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বিহীন যানজটমুক্ত । র্নিবিঘ্নে চলাচল করছে,সিটি সার্ভিস ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস,পণ্যবাহী ট্রাক,কভারভ্যান,পিকআপ,মোটর সাইকেলসহ প্রাইভেটকার । গত ১৩ জুলাই যোগদানের পর থেকে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম দফায় দফায় যানজট নিরসনের বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক,নেতা,সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র,কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেনএবং তাদের মতামত মতামত নেন। সর্বশেষ পুলিশকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েই বৈঠক শেষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিএমপির কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন,গাজীপুর মেট্রোপলিটন এ যোগদানের পর আমার পরিকল্পনার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মী এবং সুশীল সমাজকে অবহিত করেছি। সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি,তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। ইতোমধ্যে নগরবাসী এবং জিএমপি স্পর্শ করে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরাও সড়ক-মহাসড়কের পরিবর্তন দেখেছে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এসব অবৈধ যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সুশীল সমাজ প্রতিবাদ করলেও কোনো সমাধান আসেনি এত দিন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ছিল । তবে পুলিশি ভূমিকার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য তাদের। এমন দৃশ্য অব্যাহত থাকলে গাজীপুরের ট্রাফিক সিস্টেম অনেক জেলার জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
জিএমপির উপকমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জিএমপি কমিশনার মহোদয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা হলো মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল মুক্ত করা। প্রাথমিকভাবে টঙ্গী ব্রিজ হতে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে পরিচালিত চলমান অভিযানে ১৪ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এগারো শো‘র বেশি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নিষিদ্ধ কোনো যান মহাসড়কে চলতে দেব না। সড়ক পরিবহন আইন অমান্য করা ২৫৪টি যানবাহনে এবং প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে না পারা ৩৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,পাশাপাশি ফুটপাত দখল করে দোকানপাট,দোকানের সামনে ভাড়া দেওয়া এবং মালামাল রাখা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মহাসড়কে যানজট নিরসন,দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে পর্যায়ক্রমে সব সড়ক-মহাসড়কে সব রকম অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।