সাঘাটায় বিধবা নারী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা
তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে :
সাঘাটা উপজেলার খামার পবন তাইড় গ্রামের ভ্যান চালক মাসুদের সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে জনৈকা বিধবা নারী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঘটনাটি এলাকার জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সেই সুযোগে একটি মহল দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ওই বিধবা নারীর গর্ভের সাত মাসের নিঃষ্পাপ ভ্রুণটিকে নষ্ট করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, কিছুদিন পূর্বে খামার পবন তাইড় গ্রামের ছামছুল হক ফকিরের পুত্র এক সন্তানের জনক মাসুদের সাথে ঢাকায় পাশাপাশি বাসা হওয়ার সুযোগে তিন সন্তানের জননীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মাসুদের স্ত্রী স্বামীর সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।
সেই সুযোগে বিয়ের প্রলোভনে মাসুদ বিধবার সাথে স্বামী স্ত্রীর ন্যায় দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিধবা গর্ভধারন করে।
বিষয়টি মাসুদকে জানালে মাসুদ গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চাপ প্রয়োগ করে। গর্ভ নষ্ট না করায় মাসুদ পালিয়ে এলাকায় চলে আসে।
নিরুপায় হয়ে বিধবা নারী মাসুদকে খুঁজতে বাড়িতে চলে আসে। এবং ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মাসুদের পরিবারের লোকজনকে জানায়।
ঘটনাটি জানা জানি হলে, বিধবাকে তার সন্তানেরা বাড়ি থেকে বের করে দেয়। প্রায় ১৫ দিন বিভিন্ন স্থানে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বাড়ি থেকে দ্বারে দ্বারে বিচার প্রার্থনা করে।
এ ঘটনায় মাসুদের আত্নাীয় জনৈক মনির নামের এক ব্যক্তি সহ কয়েকজন অসৎ উদ্দেশ্যে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠে পরে লেগেছে। সেই সাথে বিধবার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ওই বিধবা নারীর সাথে মাসুদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে ওই শিশুটি বেঁচে যাবে। এবং বিধবা নারী ন্যায় বিচার পাবে।
ওই নারী বলেন, আমি মাসুদের প্রলোভনে অপরাধ করেছি। তারপরেও আমি সমাজের কাছে সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি।
কিন্তু মাসুদের টাকা-পয়সা খেয়ে কিছু লোক আমাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চাপ প্রয়োগ করছে।