রেজানুর ইসলাম:
ধামরাইয়ে ৪৩ বাস যাত্রীকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে বাসের সুপারভাইজার মোমিন হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে,গত শুক্রবার ভোরে ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কালামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা সজিব (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৫) ও ফজলু (২৮)।
শনিবার দুপুরে ধামরাই থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ৩১ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে ৪৩ যাত্রীসহ ইসলাম পরিবহন নামে একটি বাস ছেড়ে আসে। এটি ভোর ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীর ছদ্মবেশে সাত ডাকাত বাসটিতে ওঠে।
ভোর ৫টার দিকে বাসটি টাঙ্গাইল বাইপাস এলাকা পার হওয়ায় সময় ডাকাতরা চালক মো. হারুনের গলায় ছুরি ধরে তাকে সরিয়ে সজিব নামে একজনকে চালকের আসনে বসায়। এ ছাড়া সুপারভাইজারের গলায় তারা ছুরিকাঘাত করে জখম করে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক বাসটি মির্জাপুর-কাওয়ালীপাড়া সড়কে চালাতে বাধ্য করে। ভোর ৭টার দিকে বাসটি ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকায় নিয়ে আসে তারা। বাসটি সেখানে একটি খাদে পড়ে যায়।
এরইমধ্যে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হলে হেলপার কৌশলে বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে পড়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে আসতে পালিয়ে যায় ডাকতরা।
তবে স্থানীয়রা দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা বাস চালিয়ে আসা ডাকাতের তথ্য দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকেও আটক করে। এ ছাড়া তারা গত ২৫ অক্টোবর হওয়া বাস ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
এএসপি আরও বলেন,গ্রেপ্তারকৃত কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত চারটি ছুরি, লুট করা ৩,২৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।