মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম.মোজাম্মেল হক বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিচার হয়নি।হয়েছে আত্মস্বীকৃত খুনিদের।নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাদের বিচার হয়নি। বঙ্গবন্ধু খুনের নেপথ্যে কারা ছিলেন তাদের ইতিহাসটা জাতির সামনে আসা উচিত।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের ৮ বছর পূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরা এবং তাঁর সফল মেয়াদান্তে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘উপাচার্য হিসেবে ড. হারুন-অর-রশিদ তাঁর মেয়াদ সফলভাবে ৮ বছর পার করেছেন। আমি মনে করি আজকে তাঁর আনন্দের দিন। তিনি সফলভাবে তার মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। তিনি এখন মুক্ত হলেন। নিয়মের বেড়াজালে তিনি আর আটকে থাকবেন না। একটি মুক্ত জীবন পাবেন। গবেষণায় পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন। আশা করবো তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও গবেষণাধর্মী বই রচনা করবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর ভাষণে অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বলেন,“সততা আর ন্যায় নিষ্ঠা থাকলে মানুষের পক্ষ্যে অসাধ্য কিছু নয়। ৮ বছর আগে আমরা যখন যাত্রা শুরু করেছিলাম তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়াই থেকে তিনবছরের সেশনজট ছিল। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট থেকে মুক্ত। করোনার কারণে কয়েকমাস পিছিয়ে গেলেও নতুন প্রশাসন তা পুষিয়ে নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রমকে আপ টু ডেট করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আমি আশা করি।বিগত ৮ বছরে সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উন্নয়ন ও ইমেজ পুনরুদ্ধার হয়েছে তাকে ধারণ করে আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। সরকার, রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে সার্বিক উন্নয়ন প্রধানত নির্ভর করে নেতৃত্বের উপর। নেতৃত্বের আসনে যারা আসীন তাদের প্রত্যেকের উচিত হবে সমাজ, প্রতিষ্ঠান মানুষের সামনে অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন এর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের পরিসরে দেশের একটি অগ্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান করে নেবে।আই ক্যান সি এ ব্রাইট ফিউচার অব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তিনি আরও বলেন,৮ বছরের টার্ম শেষে মাননীয় মন্ত্রীবর্গ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারি ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতি ও তাদের ভালবাসা প্রকাশ আমার জন্য শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন,‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ নতুন উচ্চতায়। উপাচার্য ড. হারুন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজিয়েছেন। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে নিরলস কাজ করেছেন তিনি। উপাচার্য হিসেবে তিনি যে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এতো বড় বিশ্ববিদ্যালয়কে দক্ষভাবে পরিচালনায় তিনি যে সাহস দেখিয়েছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।আজকে যে অর্জন হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে যে পর্যায়ে তিনি রেখে গেছেন আমি আশা করবো,পরবর্তীতে যারা আসবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশা আমাদের থাকবে। উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের মতো সবদিক মিলিয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমি তার দীর্ঘজীবন কামনা করি।
আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন,গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি,গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান,বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজসেবী এডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।