রাজশাহীর বানেশ্বরে সাংবাদিক ইউনিয়নের আরইউজে“র সভাপতির ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর
ইমতিয়াজ মাসরুর রিজভী:
শুক্রবার(১৮আগস্ট)২০২৩ইং বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা এবং তার প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, আজ বিকেলে তিনি রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে রাজশাহী শহরের দিকে আসছিলেন। পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকায় পৌঁছালে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তার প্রাইভেটকার ঘিরে ধরে। সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম গাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই হামলাকারীরা চাইনিজ কুড়াল, রামদা ও লোহার পাইপ দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হামলাটা খুবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়েছে। কারণ,এই হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া সুমনউজ্জামান সুমনের নারী কেলেঙ্কারির ব্যাপারে আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি। গাড়ি ভাঙচুরের সময় আতঙ্কিত অবস্থায় আমি গাড়ির ভেতরেই বসেছিলাম। গাড়ি থেকে বের হলে তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নেব।
এদিকে,দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এছাড়া এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আরইউজে।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক বলেন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির ওপর হামলা মানে রাজশাহীর সকল সাংবাদিকের ওপর হামলা। এর প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আরইউজের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার চাই। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করবে বলে আশা রাখি। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশও পাঠিয়েছিলেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছেন। অভিযোগ পেলে তিনি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।