গাইবান্ধায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আবারও ৩ জন গ্রেফতার
আনোয়ার হোসেন রানা গাইবান্ধা থেকেঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী
যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম (৪৫) হত্যা মামলায় আরও ৩ আসামিকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ
তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব শিবরাম
গ্রামের আব্দুস ছাত্তার মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (৩৪), পশ্চিম ক্সবদ্যনাথ
গ্রামের মৃত মুসলিম ব্যাপারীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৫০) ও আব্দুল মালেক মিয়ার
ছেলে মারুফ (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ওই মামলায় ৬ জন কে
গ্রেফতার করেন থানা পুলিশ। র্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় রাজনৈতিক
প্রতিহিংসার জের ধরে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক
প্রতিপক্ষ জামায়াত ও বিএনপির কিছু দুষ্কৃতিকারী হুমকি, ভয়ভীতি দেখিয়ে
আসছিল। এরই একপর্যায়ে গত ১২ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে জাহিদুল ইসলাম
মোটরসাইকেল যোগে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা থেকে ছাইতনতলা আসার পথে শাখামারা
ব্রিজের ওপরে পৌঁছামাত্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত আসামিরা অতর্কিত
হামলা করে জাহিদুল ইসলামকে এলোপাথারীভাবে লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো
ছোরাদ্বারা আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী আহত
জাহিদুলকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং অবস্থা
আশঙ্খাজনক দেখে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ নভেম্বর রাত ২ টা
৩৫ মিনিটের দিকে মারা যায়। এ ঘটনার পর পরই আসামিরা বিভিন্ন স্থানে
আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ২৩ জন নামীয় এবং ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা
আসামির বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। দেশের আইন শৃংখলা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের চলমান
অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-১৩, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা এবং
গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৪
নভেম্বর) ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে
গ্রেফতার করা হয়।
এসময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ
বশির আহমেদ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি মারুফ মিয়া সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের
সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জয়নাল মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিএনপির আহব্বায়ক সদস্য
এবং মোজাম্মেল হক একজন জামায়াত কর্মী। এদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর
করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত
রয়েছে।