ফুলছড়িতে রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করার অভিযোগ
আনোয়ার হোসেন রানা,গাইবান্ধা থেকেঃ
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া
দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে সোহেল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় সরকার বিভাগের
(এলজিইডি) লোকজনকে ‘ম্যানেজ’ করে ঠিকাদার দায়সারাভাবে রাস্তার কাজ করছেন।
অন্যদিকে ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গাইছে স্থানীয় এলজিইডি অফিস।
জানান
গেছে, দীর্ঘ তিন কিলোমিটার পুরো বালি ভরাটের কাজ শেষ হয়ে এখন রাস্তার
সাববেজের (নিচের স্তর) কাজও শেষ হয়েছে। রাস্তার পাশের মাটি ভরাটও করা
হয়েছে। পুরো সাববেজের জন্য ব্যবহৃত খোয়া নিম্নমানের ইটের।এ বিষয়ে স্থানীয়
ব্যক্তি গোলাম মাওলা সহ আরও একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,রাস্তা
নির্মাণে যে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে, এমন খোয়া দিয়ে কোন কাজ হয় না।
তাদের আশংকা, নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে ঠিকাদার এভাবে কাজ শেষ করে
গেলে অল্পদিনের মধ্যে রাস্তা দেবে যাবে এবং কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের
অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
পথচারী ইসমাইল আলী বলেন, পুরাতন ইট খোয়া বানিয়ে ব্যবহার
করা হয়েছে। ওই ইটগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এ ছাড়া ভাটা থেকেও দুই ও তিন
নম্বর ইটের আধলা এনে খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা মানা করা
সত্ত্বেও তারা ওই ইটের খোয়া ব্যবহার করেছে।রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া
ব্যবহারের বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার
সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামের
মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া
ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম
বলেন, কাজের মান নিয়ে অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে ঠিকাদারকে
খারাপ ইটের খোয়ার ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সহকারী
প্রকৌশলীকে উক্ত কাজ পরিদর্শনের জন্য পাঠিয়েছি। খোয়া ল্যাব টেস্টে পাঠানো
হবে। যদি খোয়ার মান খারাপ হয় তাহলে সে সব খোয়া পরিবর্তন করা হবে তিনি
জানান।