কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ১২ বছর পর গ্রেফতার
কুষ্টিয়া থেকে,ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাঞ্চল্যকর কয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১২ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা উপজেলার কৃষ্টগঞ্জ এলাকায় র্যাবের বিশেষ অভিযানে তাকে আটক কর হয়। বিষয়টি শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া র্যাব-১২ এর কার্যালয়ে বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে জানান কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
আটকৃত আসামি হলেন কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত খান শরিফ উদ্দিনের ছেলে মানিক।
র্যাব -১২ এর কোম্পানি কমান্ডার সাংবাদিকদের জানান ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই বিকালে কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু বাড়ী ফেরার পথে কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হাতি সাঁকো রেললাইন এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে দূর্বুত্তরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ ও ছুরিকাঘাত করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
পরে নিহতের ভাই জিয়াউল ইসলাম স্বপন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী উপ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২০১৩ সালে ১৬ জুলাই কুষ্টিয়া আদালত থেকে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। মামলার বিচার শেষে বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল খুলনা আদালত উক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ ১২জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
র্যাব-১২ আরও জানান চেয়ারম্যান হত্যার পর আটককৃত মানিক নিজ এলাকা ছেড়ে রাজশাহীতে বসবাস শুরু করে। পরিচয় গোপন রেখে রকিব উদ্দিন নামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করেন।
আটককৃত মানিককে কুমারখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে। এবং কুমারখালী থানা তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করবে বলে তিনি জানান।