কুষ্টিয়া থেকে ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ (এমপি) বলেছেন, জনবিচ্ছন্ন হয়ে গেলে যখন কোন কিছু আর করার থাকে না। জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না। খড়কুটো আখড়ে টিকে থাকতে চায়। টিকে থাকা সেই প্রবণতা সেটা বিএনপি'র মধ্যে দেখা যাচ্ছে। কোন ইস্যু নেই, তারপরও এই সমস্ত কথাবার্তা বলে টিকে থাকতে চাইছে বিএনপি।আমি মনে করি যে বিএনপি কে এই মিডিয়া টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে তাদের নানা অপকর্মের কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং বিরোধী দলে থাকতেও, ক্ষমতার বাইরে থেকেও তারা হরতাল অবরোধের নামে ২০১২,১৩,১৪, ১৫ সালে মানুষ পুড়িয়ে,গাড়ি পুড়িয়ে, জনগণের জান ও মালের ক্ষতি করে। যার কারনে বিএনপি জনধিক্কিত হয়ে গিয়েছিল। এদেরকে এখনো টিকিয়ে রাখার পিছনে মিডিয়া একটা ভূমিকা পালন করছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীরতে সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার আয়োজনে মৃত সাংবাদিকের পরিবার ও অসুস্থ মোট ৫৪ জন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা ও অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, এই যে মির্জা ফখরুলের আগাম কথাবার্তা প্রমাণ করে যে, এদের মধ্যে রাজনৈতিক কোন শিষ্টাচার বা এরা সুস্থ রাজনীতি বিশ্বাস করে না। এরা সবসময় মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তারা আবেদন করল গতকালকে। সে আবেদনের ব্যাপারে এখন কোন সিদ্ধান্তই জানায়নি কর্তৃপক্ষ। আগে উনি আগাম মন্তব্য করে দিচ্ছেন। তার মানে এগুলো তারা এটি রাজনীতি ইস্যু করতে চায়।কি ভাবে মিডিয়া বিএনপিকে টিকে রেখেছে এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন,প্রতিটা সময়ে দেখা যায় বিএনপির ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকরা বা মিডিয়া কথা বলে। বিএনপি একটা গণধিক্ষিত দল তাদের নিয়ে কথা বলার কোন প্রয়োজন আছে? আর এই সরকারের কি অবস্থান আছে সেটা তো গত ১০ বছর ধরে জনগণ দেখছে। দশ বছর ধরে বিএনপি একই কথা বলে আসছে। এ সরকারের জনপ্রীতি নেই, সরকারের সাথে জনগণের সম্পর্ক নেই, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ধাক্কা দিলে পড়ে যাচ্ছে, সে ধাক্কা দেয়ার পরেও দশ বছর ক্ষমতায় টিকে আছে। সেই ধাক্কা দিতে যেয়ে বিএনপি নিজেরায় পড়ে গেছে।
তাহলে কেন তাদের আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, কিসের আন্দোলন, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী কারাগারে আছে, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ এবং খুনি বিদেশে পলাতক আছে। তাদের মুক্তি মুক্তির জন্য জনগণ আন্দোলন করবে। তাদের মুক্তির জন্য রাজপথে নেমে ভাঙচুর করবে। রাষ্ট্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করবে। সেটা সরকার বসে বসে দেখবে, জনগণ সেটা দেখবে। আমরা বারবারই বলেছে এদেশে কোন সন্ত্রাসীবাদ বা দুর্নীতিবাদের দেশ নয়। এই দেশে যারা দুর্নীতি সন্ত্রাসী করে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে একজন কারাগারে, একজন পলাতক। তাদের মুক্তির জন্য কোন ধরনের রাজপথে সহিংসতা,কোন ধরনের রাজপথে নৈরাজ্য এটা বরদাস্ত করা হবে না।
এ সময় কুষ্টিয়া- ১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ,কুষ্টিয়া- ৪ কুমারখালী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ,জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম,পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুক উজ জামান,অ্যাড. শেখ হাসান মেহেদী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম,জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.দেওয়ান মাসুদ করিম মিঠু,বিএফইউজের সহ সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ। সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব,সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসানসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।