অতিচালাকের গলায় দড়ি , বরিশালের বাবুগঞ্জে লাইজুন নাহার পপি। একাধিক বিয়ে হলেও লাইজুন নাহার নিজেকে কুমারী দাবি করে বিত্তবান পরিবারের যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে অর্থ আদায় করা রুপসী লাইজুন নাহার পপির নেশা। কাবিন নামায় ভূয়া ঠিকানা দিয়ে বিয়ের কিছু দিন পরই প্রকাশ পায় তার আসল রুপ। সাংবাদিকদের কাছে এমনই এক চাঞ্চল্যকার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে সাইফুল ইসলাম সোহান। সর্বশেষ বিয়ে ব্যবসায়ী ওই পপির ফাঁদে পরেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা এলাকার মোঃ হালিম হাওলাদারের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহান নামে এক যুবক। তথ্যমতে পপির প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২০০১ সালের ৫ জুলাই প্রথম বিয়ে হয় নথুল্লাবাদ এলাকার সেকান্দার আলীর পুত্র কাজী সাইদুল ইসলামের সাথে পরে সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ১৩/০৬/২০০৬ সালে যশোরের নতুন উপসহর এলাকার রেজাউল ইসলামের পুত্র ফয়সাল কবিরের বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়। দ্বিতীয় বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে পপি নতুন শিকারের খোঁজে নামে। পরে তৃতীয়বারের মত ৭/২/২০০৮ সালে যশোর জেলার যাদবপুর এলাকার মিজানৃুর রহমানের ছেলে তুহিন ইসলামকে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন। ৪র্থ বারের মত ১২-০৯-২০০৯ সালে ফেণী জেলার ফজলুল হক’র ছেলে খায়রুল আজীম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়ে বিবাহ বানিজ্য চালিয়ে যায়। ২০১০ সালে ৫ম বারের মত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কাওলী ডাঙ্গা জয়নাল আবেদীন এর পুত্র জামিল আক্তার সুমন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেখানে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু তার এহেন চরিত্রের সংবাদ ৫ম স্বামী জামিল আক্তার সুমন জানতে পারেন। পরবর্তীতে পরিবারের নানা অশান্তি সৃষ্টি হয়ে সেখানেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে লাইজুন নাহার পপির বাবুগঞ্জে খানপুর সদরে একটি বিউটি পার্লার এর অন্তরালে বিভিন্ন ছেলেদেও সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার মূখ্য উদ্দেশ্য। একই উদ্দেশ্যে তার পরিচয় ঘটে বাবুগঞ্জে থানপুরা গ্রামের আঃ হালিম হাওলাদারের পুত্র সাইফুল ইসলাম সোহানের সাথে সোহানের স্ত্রী সন্তান আছে জেনেও লাইজুন নাহার পপি প্রেমের ফাঁদে ফেলে ০৭/০৬/২০১৮ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই বরিশাল শহরের বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছেন।এবং বিয়ের পরেও একাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলামান থাকে যা সোহানের হাতে ধরা পরলে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেলে সোহনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। সোহান টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেন এবং এয়ারপোর্ট থানা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে সোহান ও তার পরিবারকে হয়রানী করার দাবি করেন সোহান।