:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও সহিংসতার রেশ কাটেনি কালীগঞ্জে। বরং গাজীপুর-৫(কালীগঞ্জ,পুবাইল ও বাড়িয়া) আসনে নৌকা প্রতীকের পরাজয়ের পর কর্মী সমর্থকদের এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার উজ্জামানের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর মূলগাও এলাকার লোকমানের দোকান সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায়।
আহতের ডাক- চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদিকে শাকিলের অবস্থা বেগতি হলে দ্রুত তাকে ঢামেকে রের্ফাড করেন।সে উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে।
এ ব্যাপারে আহত শাকিলের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানার উপ-পরিদর্শক শামীম ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন। থানায় মামলা হয়েছে। দ্রুত আসামিদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আলম মিয়ার ছেলে সাব্বির নৌকার কর্মীছিল। তাকে মারার জন্য শুক্রবার আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা সুইচ গিয়ার ছুঁড়া নিয়ে রাশেদের নেতৃত্বে বাপ্পী, নাহিদ,তুষার, সাব্বির খান, মহসিন, শিমুল আবু, ওসমান ও হাসান এলাকায় মহড়া দেয়।
এ সময় নৌকার কর্মী সাব্বির লোকমানের কাছাকাছি পৌছলে বাপ্পী তার পথরোধ করে কথা কাটাকাটি করে। এক পর্যায়ে উল্লেখিত ওই সন্ত্রাসীরা এসে সাব্বিরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে সে চিৎকার করলে তার বড় ভাই শাকিল, নাঈম, চাচা শাহিন দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে বাড়ির লোকজনের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এ দিকে রোববার সকালে আসামীদের দ্রুুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবীতে প্রতিবাদ সভা করেন আহতের স্বজনরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন-নাসরিন বেগম,শামসুন্নাহার,নাসিমা আক্তার,ফাতেমা,পিয়ারা বেগম,চান মিয়া, রকমত উল্লাহ,আলম মিয়া,সাদিয়া পারভিন,বিউটি আ্ক্তার,মারিয়া,কাজল,মানিক ও সাব্বির হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা জানান- নৌকা করাই আমাদেরর অপরাধ। পরাজিত হয়েছি বলে কি নৌকার কর্মীদের মারধর, হামলা, অগ্নি সংযোগ, দোকান হামলা ভাংচুরসহ নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন,নির্বাচনে হারজিততো থাকবেই। সদ্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার উজ্জামানের নেতা কর্মীরা নৌকার নেতা কর্মীদেরকেতো হামলা করছেই এমনকি বাড়িতে নারীরা নিরাপদে নেই, তাদেরকেও মারধরসহ নানা ধরনের হয়রানী করছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা।