প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন–অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা,অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল অবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন,২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে কমিটিকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেয়।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে নাম নেওয়া ছাড়াও বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করে। গত মঙ্গলবারের (২২ ফেব্রুয়ারি) সভায় ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে কমিটি।
নতুন ইসি গঠনে অনুসন্ধান কমিটি মোট ৭টি সভা করেছে। এছাড়া সার্চ কমিটির সঙ্গে চারটি সভায় অধ্যাপক, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি, সরকারি সাবেক কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
পরে সার্চ কমিটির কাছে আসা ৩২২ জনের নামের তালিকা করা হয়। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপরও রাজনৈতিক দলসহ বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে নাম নেয় কমিটি।
সার্চ কমিটিতে সদস্য ছিলেন- সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন,সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।