আলমগীর কবীর:
বাফুফের নতুন নেতৃত্ব পেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।এই প্রথমবারের মতো দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পেলেন তাবিথ আউয়াল। বিএনপি‘র হাই ভোল্টেজ নেতা আব্দুল্লাহ আওয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়াল ।
২৬ অক্টোম্বর২০২৪ইং রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভার পর ভোটের লড়াইয়ে নিরঙ্কুশ জয় পান তাবিথ আওয়াল। দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরিকে ১২৩ ভোটে হারান, রাজনীতিক ও ক্রীড়া সংগঠক ব্যক্তিত্ব তাবিথ। ১৩৩ ভোটারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১২৮জন । নিকটতম প্রতিদ্বন্দী পায় মাত্র ৫ভোট ।
উল্লেখ্য,দুপুর ২টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। আধঘণ্টার ভেতরেই সভাপতি পদে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
গত মাসে কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার পরপর নিশ্চিত হয়ে যায়, প্রায় ১৬ বছর পর বাফুফে প্রধানের চেয়ারে বসবেন নতুন প্রধান।
২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফের সহ-সভাপতি ছিলেন তাবিথ। ২০২০ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে মহি উদ্দিন মহির সঙ্গে ৬৫-৬৫ ভোটে ড্র হয়। এরপর পুনরায় ভোট হলে ৬৭-৬৩ ভোটে হেরে যান তাবিথ। চার বছর পর এবার সর্বোচ্চ পদে বসবেন তিনি।
আরও ১৯টি পদে ভোট হয়েছে শনিবার। ভোটের লড়াইয়ের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে গেছেন বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।
সহ-সভাপতির ৪টি পদে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন ৬ জন। নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ১১৫ ভোট পেয়ে প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি ১০৮ ভোট, সাব্বির আহমেদ আরেফ ৯০ ভোট ও ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম ৮৭ ভোট পেয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সহ-সভাপতি হয়েছেন।
এছাড়া এই পদের লড়াইয়ে দুই সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম মানিক যথাক্রমে ৬৬ ও ৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
সদস্য হিসেবে ১৫টি পদের বিপরীতে লড়াইয়ে ছিলেন ৩৭ জন। সর্বোচ্চ ৯৮ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন মো: ইকবাল হোসেন। নির্বাচিত পরের ১৩ জন হলেন আমীরুল ইসলাম (৯৬), মোঃ গোলাম গাউছ (৯২), মোঃ মাহি উদ্দিন আহমেদ (৮৮), টিপু সুলতান (৮৭), মোঃ মঞ্জুরুল করিম (৮৬), জাকির হোসেন চৌধুরি (৮২), মাহফুজা আক্তার কিরন (৮১), কামরুল হাসান হিলটন (৮০), সত্যজিৎ দাস রুপু (৭৬), ইমতিয়াজ হামিদ (৭২), মোঃ ছাইদ হাসান কানন (৬৭), সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া (৬৬) ও বিজন বড়ুয়া (৬২)।
১৫তম সদস্যের পদে সমান ৬১ ভোট পেয়েছেন মোঃ এখলাছ উদ্দিন ও মোঃ সাইফুর রহমান মনি। এই পদের জন্য হবে পুনঃভোট। সেই ভোটের দিনক্ষণ পরে জানাবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া দুজনের সমঝোতার পথও খোলা থাকছে।