রনি আহমেদ:
রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করা জামায়াতে ইসলামের সমর্থন পাওয়া প্রার্থীর ৭টিতে জয় পেয়েছেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাত্র ৩টিতে জয়লাভ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। আর ৫টিতে মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করা বিএনপি ২টিতে জয়লাভ করেছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম ধাপে মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নের ২২১টি পদে মোট ১ হাজার ১৯২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭৭৩ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন- ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নে মাহবুবার রহমান মাহবুব, ৪নং ভাংনী ইউনিয়নে আব্দুল্যাহ আল মামুন, ৫নং বালারহাট ইউনিয়নে মাওলানা আবুল হাসনাত রতন, ৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন মাস্টার, ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে শাহজাহান মিয়া, ১৬নং ইউনিয়নে মাওলানা শফিকুল ইসলাম এবং ১৭নং ইমাদপুর ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম।
এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ১২নং মিলনপুর ইউনিয়নে আতিয়ার রহমান, ১৪নং দুর্গাপুর ইউনিয়নে সাইদুর রহমান তালুকদার, ১৫নং বড় হয়রতপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, ১নং খোড়াগাছ ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান, ২নং রাণীপুকুর ইউনিয়নে আবু ফরহাদ পটু, ৭নং লতিবপুর ইউনিয়নে ইদ্রিস আলী, ৮নং চেংমারী ইউনিয়নে রেজাউল কবির টুটুল, ৯নং ময়েনপুর ইউনিয়নে মোকছেদুল আলম সরকার মুকুল।
এছাড়া বিএনপির হয়ে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচিত হয়েছেন, ১১নং বড়বালা ইউনিয়নে তরিকুল ইসলাম সরকার স্বপন, ১৩নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ তালুকদার।
জানা গেছে, নির্বাচনে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো ১৪ জন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ব্যাপক আকার ধারণ করায় অনেকেই মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতাকর্মীদের অনেকে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করছেন। মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীনদের এই কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে ১৭টির মধ্যে ১৩টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছিলো জামায়াত। ৫টিতে প্রার্থী দিয়েছিলো এক সময়ের দাপুটে দল জাতীয় পার্টি। এছাড়া ২ ইউনিয়নে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী দিয়েছিলো বিএনপি।