সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকাল ৭:৫৬ সময়
গাইবান্ধায় জমি সংক্রান্ত বিরোদ্ধের জেরে পিতাকে পেটালো সন্তানরা ;থানায় অভিযোগ
তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে:
দীঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ৩ সন্তান কর্তৃক তাদের পিতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৩ নং দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা গ্রামে। উপায়ন্তর না পেয়ে বিচারের দাবীতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আমির হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রায় ৭-৮বছর পূর্বে ভুলভাল বুঝিয়ে আমির হোসেনের নিকট থেকে জমিজমা রেজিষ্ট্রি দলিল করে নেন তার তিন সন্তান। তার পর থেকে সব কিছু থাকা স্বত্বেও যেনো সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েন তিনি। নিজ বাড়িতেই হয়ে পড়েন গৃহ ও ভূমিহীন।
এমনকি কারণে অকারণে বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও মারপিট করে। একপর্যায়ে তাদের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে শেষে বিচারের দাবীতে নিজ সন্তানদের নামে মামলা করতে বাধ্য হন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী, আমিনুর হোসেনের দায়েরকৃত বিজ্ঞ আদালতে তার ৩ সন্তানের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সিআর নং ১৩/২০২৩। মামলা করার কয়েকদিন পর অভিযুক্ত তিন সন্তান আর মারপিট করবেনা এবং স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করবে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে একটি মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে আসে।জামিন লাভেরপর বাড়িতে ফিরে এসে আবারো আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে।
এমতাবস্থায় গত ০১ মে বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে আবারো নিজ বাড়ির সামনে একনং আসামী রিজু মিয়া (২৭)'র হুকুমে ২নং আসামী জিসান মিয়া (২৫) পিতা আমির হোসেনকে লাঠি দ্বারা আঘাত করতে থাকে, এবং ১নং আসামীও লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে বলে অভিযোগ আমির হোসেনের।
পরে তার তিন সন্তান বাবাকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিটের এক পর্যায়ে আমির হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ২মে২০২৩ ইংমঙ্গলবার আমির হোসেন বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আইনের কাছে ন্যাযবিচার দাবি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রতিবেশীরা বলেন, রাস্তা দিয়ে যাবার সময় দেখি তার ছেলেরা বাবাকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করছে। আজকে তার ছেলেরা বাবাকে মারছে তার ছেলেদের দেখে গ্রামের অন্য ছেলেরাও শিখবে।
এটা জঘন্যতম অপরাধ। এর কঠিন বিচার হওয়া উচিৎ
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসীর ।