পীরগঞ্জ রংপুর থেকে,মোস্তফা মিয়া
রংপুরের পীরগঞ্জের ছাতুয়া দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসায় করোনায় শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও বঞ্চিত নিয়োগ প্রত্যাশিদের সূত্রে জানাযায়, উক্ত মাদ্রাসা সুপার মাদ্রসা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইসলাম ভিরু আরবি শিক্ষানুরাগী লোকদের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা, জমিদাতা, দাতা সদস্য, চাকরি প্রত্যাশি অসংখ্য পরিবারের কাছ থেকে বিনামুল্যে মাদ্রাসার নামে জমিসহ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। এলাকার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ নিয়ে ইচ্ছে থাকলেও মুখ খোলেনি অনেকে। অবার কেহ মূখ খুললেও তাদের মিথ্যা মাদকের মামলাসহ স্থানীয় বখাটেদের দিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয় উক্ত সুপার। উক্ত মাদ্রাসা সুপার কর্তৃক প্রতারিত হওয়া অন্যান্যদের মধ্যে টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া গ্রামের দারিদ্র পরিবারের রফিকুল ইসলামের কন্যা কুলছুমা খাতুন (২৬) এবং আফজাল হোসেনের পুত্র হারুনুর রশিদ ও পুত্রবধু সুলতানা বেগম।
উল্লেখ্য, উক্ত প্রার্থীদের নিকট থেকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে চাকুরি দেয়ার নাম করে লাক্ষ লক্ষ টাক হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অন্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদানের পায়তারা করে আসছিল। বিষয়টি জানতে পেরে বঞ্চিত প্রার্থীরা ইতিপুর্বে উক্ত প্রতারক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে গত ৩ জুন/২০ ইং তারিখে পীরগঞ্জের সাংসদ মাননীয় স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, চেয়ারম্যান শিক্ষাবোর্ড, উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছে। কিস্তু দুঃখের বিষয় বিভিন্ন দপ্তরে এ সংক্রান্তে লিখিত অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারনে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
অপরদিকে সুচতুর মাদ্রাসা সুপার শহিদুল ইসলাম ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবকিছু ম্যানেজ করে আজ শনিবার নিয়োগ সম্পাদনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলাম ও সভাপতি রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তাহারা বলেন, আমরা সকল নিয়ম মেনেই নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যা, এতে কারও করার কিছু নেই। যারা এর বিরোধিতা করছে তারাই মিথ্যা।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মোমিন বলেন, বিষয়টি জেনেছি কিন্তু এ সকল বিষয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির উপর নির্ভর করে, তার পরেও ঘটনার সত্যতা প্রমান পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেসবাহুল হোসেন এর মুঠোফোনে ২বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রায় সপ্তাহ পুবে তার সাথে যোগাযেগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, আমি সবে নতুন এসেছি বিষয়টি সম্পর্কে এখন ও সঠিক করে বলতে পারছি না, তবে অভিযোগ থাকলে অবশ্যই দেখা হবে।
উক্ত নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এলাবাসী ও মাদ্রাসা সুপার, পরিচালনা কমিটির মধ্যে দুভাগে বিভক্ত হয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ না করলে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটতে পারে। সচেতন মহল আইন প্রয়োগকারী সং¯’াসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হ¯’ক্ষেপ কামনা করেছে।