শহীদ শহীদুল্লা কায়সার এর স্ত্রী পান্না কায়সারের প্রয়াণ বাঙালির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পান্না কায়সার একাধারে লেখিকা ছিলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে থেকে তিনি সেটাকে শাণিত করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় আজীবন কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার প্রয়াণ বাঙালি জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
রোববার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পান্না কায়সারের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবার নিয়ে পান্না কায়সারের সংগ্রামের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংসার তৈরির আড়াই বছরের মধ্যে স্বামীকে হারিয়েছেন। তারপরও তিনি সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা কমান্ডার নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় পান্না কায়সার সাহস নিয়ে এগিয়েছিলেন।
তার উপস্থিতি এমনই প্রবল ছিল, আমরা শক্তিশালী হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে যখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধের দল ক্ষমতায়, তখন জনতার আদালতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়। তখন জনতার আদালতে সবার আগে তিনি সাক্ষী দিতে এগিয়ে আসেন। অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার বলেন, আমার মা কষ্ট থেকে শক্তি অর্জন করেছেন। কোনোদিন প্রকাশ করেননি। মাত্র ২১ বছরে তিনি বিধবা হন। তারপর এ বাংলাদেশে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি লড়াই করে গেছেন। এরইমধ্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাসের বাইরে সঠিক ইতিহাস প্রচারে নিরন্তর লড়াই করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী হিসেবে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। আমার মা পান্না কায়সার একজন মহীয়সী নারী । তার তুলনা হয়না । আমার বাবা শহীদ শহীদুল্লা কায়সার এই দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেনে ।তার অবর্তমানে মায়েই বাবার অভাব পূরন করেছেন ।