ঘুর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উপকূল এলাকাগুলিতে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে
খবরের সময় ডেস্ক:
উপকূলবর্তী এলাকার পাশাপাশি কলকাতা ও আশপাশের এলাকাতেও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ এব সঙ্গে হাল্কা বৃষ্টি চলছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী,রবিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতরের তরফ থেকে। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর রবিবার সকালের মধ্যে মালদহ জেলাকে বাদ দিয়ে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ সোমবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে মালদহ জেলায় মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আগামী ২-৩ দিনে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর সোমবার সকালে মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলকাতার আবহাওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনাও রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। জওয়াদের সঙ্গী অমাবস্যার ভরা কটাল একদিকে ঘূর্ণিঝড়, অন্যদিকে অমাবস্য। ভরা কটালের জন্য উপকূলবর্তী জায়গাগুলির পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী,স্বাভাবিকের থেকে জলস্তর ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত বেশি থাকতে পারে। উপকূল এলাকাগুলিতে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে কলকাতার পাশাপাশি উপকূলীয় পশ্চিমবঙ্গের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবার দুপুরের দিকে জাওয়াদ পুরীর কাছে শক্তি ক্ষয় করার পরে,সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাবে।